আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের কমিটি: কাজে আসছে না নেতাদের তদবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৮:১৭

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কমিটি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের নানামুখী তদবির এবার খুব একটা কাজে আসছে না। দলের সিনিয়র নেতারাও কোনো প্রার্থীর বিষয়ে সবাই একমত হতে পারছেন না।

একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য যারা নিজেদের বলয় ঠিক রাখার জন্য পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সুপারিশ করেন। তাদের এ সুপারিশ দলের শীর্ষ পর্যায়ে গিয়ে আর টেকেনা। কারণ, সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে ও জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে দলে জায়গা দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রাখেন। একাধিক নেতা একাধিক পছন্দের প্রার্থী জন্য কাজ করেন। কমিটির হওয়ার পরে দেখা যায়, তাদের পছন্দের কেউ ওই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দুই পদের কোনোটিতেই নেই। ওই পদে একেবারে নতুন মুখ আসছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার দক্ষতা ও বিচক্ষনতায় দলের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনছেন। যার ফলে দলে নেতাদের তদবিরে কোনো কাজ হচ্ছে না। যার প্রমাণ পাওয়া যায়, চলতি মাসে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও মহিলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককের ক্ষেত্রে।

সম্মেলনের আগে মহিলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে আলোচনা ছিলেন, সহ-সভাপতি শিরিন নাঈম পুনম, আসমা জেরিন ঝুমু (সাবেক সাংসদ), বনশ্রী বিশ্বাস স্মৃতি কনা, নাসিমা ফেরদৌসী, আলেয়া পারভীন রঞ্জু, পিনু খান (সাবেক সাংসদ), ইয়াসমিন হোসেন, আজিজা খানম কেয়া, ফারহানা ডলি , গত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রুকসানা, শিখা চক্রবর্তী, নাজমা হোসেন, কামরুন্নেসা মানান, সাংগঠনিক সম্পাদক আনারকলি পুতুল, সুলতানা রাজিয়া পান্না, ঝর্ণা বাড়ৈ, দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন রোজী। কিন্তু এদের মধ্যে থেকে কেউ গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে আসতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে মেহের আফরোজ চুমকি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শবনম জাহান শিলাকে নির্বাচিত করেন।

একইভাবে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সম্মেলনের আগে যারা আলোচনায় ছিলেন তাদের মধ্য থেকেও কেউ গুরুত্বপূর্ণ পদ পাননি। সভাপতি পদে ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব পদে নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন।

কারণ দলীয় সিনিয়র নেতাদের পছন্দের প্রার্থীকে সুযোগ করে দিলে সবমিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা হয়ে যায় সাত থেকে আটজন। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে সংগঠনের মূল পদে আনতে চলে মনস্তাত্ত্বিক প্রতিযোগিতা।

বিষয়টি যখন দলীয় প্রধানের নজরে আসে তখন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বাদ এমন কাউকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয় যারা কখনো আলোচনাই থাকেন না। পদ-পদবী নিয়ে বিভিন্ন জন আলোচনায় থাকলেও মহিলা আওয়ামী লীগ ও স্বাচিপের মতোই ছাত্রলীগের কমিটি হতে পারে বলে ধারণা করছেন দলটির নেতারা।

তুলনামূলক বির্তকমুক্ত মেধাবী, পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড , শিক্ষা, দলের প্রতি শ্রম ও ত্যাগসহ বিভিন্ন ইতিবাচক দিক বিচার বিশ্লেষণ করে সংগঠনের মূল পদে আসিন করেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।

আসন্ন ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে যেমন চলছে আলোচনা, তেমনি চলছে ত্যাগীদের নিয়ে ঘষা মাজা। কারণ এখন আর তদবিরে তেমন কাজ হয় না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। যাকে দলের যোগ্য মনে করবেন তাকেই সংগঠনের দায়িত্ব দিবেন। কারো তদবিরে নেতা হওয়া সুযোগ নেই।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র দল। যে, দল গণতন্ত্র চার্চা করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করেন তাকেই সংগঠনের দায়িত্ব দেন।’

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/জেএ/আরকেএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :