কাজে লেগেছে কাজী হায়াতের আকুতি
গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এফডিসিতে হয়ে গেল চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এর কয়েক দিন আগে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে খ্যাতিমান পরিচালক কাজী হায়াৎ হাতজোড় করে তার সহকর্মী ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘সব ভুলক্রটি ক্ষমা করে আমাকে একটি ভোট দিন।’
আকুতি ভরা কণ্ঠে নির্মাতা বলেছিলেন, ‘আমার বয়স এখন প্রায় ৭৬। আমি হয়তো দুই বছর পরে আর ভোট চাওয়ার সুযোগ পাবো না। আমার জীবনে অনেক ভুলত্রুটি আছে। অনেকে হয়তো আমার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমি চাই আমার সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আমাকে একটি ভোট দিন।’ কাজে লেগেছে কাজী হায়াতের সেই সেই আকুতি।
অর্থাৎ, পরিচালক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয় পেয়েছেন ‘আম্মাজান’সহ বহু সুপারহিট সিনেমার নির্মাতা কাজী হায়াৎ। ১৪২ ভোট পেয়ে তিনি এই পদে হারিয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুশফিকুর রহমান গুলজারকে। সভাপতি পদে গুলজার পেয়েছেন ১৩৮ ভোট। মাত্র ৪ ভোটে জিতেছেন কাজী হায়াৎ। ফলাফল বলছে, নির্বাচন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে।
শুক্রবার দিনভর ভোট শেষে গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করা হয় রাত ১২টায়। এ সময় জয়ের আনন্দে কেঁদে ফেলেন কাজী হায়াৎ। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিজয়ের মাসে বিজয় পেয়েছি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার ভোটারদের অনেক ধন্যবাদ।’
নির্বাচনে পরিচালক সমিতির মহাসচিব (সাধারণ সম্পাদক) নির্বাচিত হয়েছেন নির্মাতা শাহীন সুমন। ১৬০ ভোট পেয়েছেন তিনি। এই পদের লড়াইয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরিচালক জাকির হোসেন রাজু পান ১২০ ভোট। মহাসচিব পদে জয়ের পর শাহীন সুমন বলেন, ‘কাজী হায়াৎ ভাই একটি ব্র্যান্ড। তাকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।’
এদিকে নির্বাচনের আগে কাজী হায়াৎ প্রতিশ্রুতি দেন, ‘আমি চলচ্চিত্রের মানুষ, চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করি। আমাকে একটি ভোট দিলে আমি চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করে যাবো। এফডিসিকে নতুন করে সাজাবো। এফডিসিতে যাতে নিয়মিত শুটিং হয় সে ব্যাপারে কাজ করব। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো আমাদের কাজের সুযোগ তৈরির জন্য।’
কাজী হায়াৎ তো পরিচালক সমিতির সভাপতি হয়ে গেলেন। এখন তিনি তার প্রতিশ্রুতির কতটুকু আগামী দুই বছরে পূরণ করতে পারেন সেটাই দেখার।
(ঢাকাটাইমস/০১জানুয়ারি/এজে)