আল্লাহর কাছে ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৩ | প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:১০

মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, লালনকর্তা ও পালনকর্তা। তিনি সমুদয় বস্তুর মালিক ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। সত্তা, স্বকীয়তা, গুণ, কর্ম ও ক্ষমতায় তাঁর সমপর্যায়ের কেউই নেই, তিনি লা শরিক। দৃশ্য ও অদৃশ্য জগতের সব কিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, তিনিই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহতাআলা তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়। (সুরা হাশর, আয়াত ২২-২৪)

আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, তাঁরই। কে সেই ব্যক্তি যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করে? তিনি লোকদের সমুদয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অবস্থা জানেন। পক্ষান্তরে মানুষ তাঁর জ্ঞানের কোনকিছুই আয়ত্ত করতে সক্ষম নয়, তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছে করেন সেটুকু ছাড়া। তাঁর কুরসী আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টন করে আছে এবং এ দুয়ের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না, তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান। (সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত ২৫৫)

মানবজাতির প্রতি মহান রবের নির্দেশনা, তোমরা আমার শ্রেষ্ঠত্ব ও কৃতজ্ঞতা ঘোষণা করো। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হয়ো না। (সুরা বাকারাহ, আয়াত ১৫২)

আল্লাহতায়ালা বলেন, তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ যমীন সৃষ্টি করেছেন; এগুলোর মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, যেন তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞান সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে। (সুরা আত-তালাক্ব, আয়াত ১২)

আল্লাহতায়ালা বলেন, আর আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের কাছে কোন রিজিক চাই না; আর আমি চাই না যে, তারা আমাকে খাবার দিবে। নিশ্চয় আল্লাহই রিজিকদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী। (সুরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬-৫৮)

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৯)

আল্লাহ বলেন, কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল করা হবে না। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৮৫)

ইসলামের আভিধানিক অর্থ আনুগত্য, আত্মসমর্পণ, নিঃশর্ত হুকুম পালন। ইসলামের পারিভাষিক অর্থ হলো ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের বিধান। ইসলাম মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত জীবন যাপন পদ্ধতি। ইসলাম মানুষের সামগ্রিক জীবনের শান্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের পথ।

ইসলামের মূল দৃষ্টিভঙ্গি হলো : তাওহিদী ঈমান; এক আল্লাহর কর্তৃত্ব ও সার্বভৌমত্ব; ‘সৃষ্টি যার বিধান তাঁর’, পূর্ণাঙ্গ জীবনদর্শন ও জীবনাদর্শ ও রাসুল (সা:)-এর নেতৃত্ব ও মডেলের অনুসরণ; পার্থিব সাফল্য ও পারলৌকিক মুক্তি (সাফল্য); দ্বীন ও শরিয়ত; সৎকাজে পুরস্কার এবং অসৎ কাজে শাস্তির বিধান।

মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতির দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি, কামিয়াবি ও সফলতা রেখেছেন একমাত্র ইসলামে দ্বীনের মধ্যে। মৃত্যুর পর প্রতিটি মানুষকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে। তোমার রব কে, তোমার নবী কে এবং তোমার দ্বীন কী? ঈমানদাররা শুধুই কবরে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আমার রব আল্লাহ, নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং দ্বীন হলো ইসলাম। এখানে দ্বীন বলতে, আল্লাহর নির্দেশিত জীবনব্যবস্থা বা ইসলাম ধর্ম। আল্লাহর হুকুম মেনে চলা এবং নবী করিম (সা.)কে অনুসরণ করার মাধ্যমেই আল্লাহতায়ালা মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা রেখেছেন।

মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবন কেমন হবে ইসলাম তার নীতিমালা বর্ণনা করেছে। দুনিয়া-আখেরাতে মানুষের সুখ, শান্তি, সফলতা আল্লাহতায়ালা দ্বীনের মধ্যে রেখেছেন। দ্বীনকে আল্লাহতায়ালা দামি করেছেন। ইসলামে আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। দ্বীন মানুষের জন্য মহান আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবনবিধান। আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে জীবনের চলার পথে সঠিক পথ নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাঁর প্রেরিত নবী-রাসুলদের নিকট হেদায়েতের যে বাণী পাঠিয়েছেন, তাকে বলা হয় ওহী। যুগে যুগে প্রেরীত নবী-রাসুলদের মধ্য থেকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হলেন বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)। তাঁর উপর অবতারিত কিতাব কুরআনুল কারীম গোটা মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর রাসুলে কারীম (সা:)-এর যবান নি:সৃত বাণীকে বলা হয় সুন্নাহ বা হাদীস। ওহী বলতে কুরআন ও সুন্নাহ দুটোকেই বুঝানো হয়ে থাকে। কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানব জাতির জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ, মুক্তি ও সফলতা।

ইসলাম শান্তির ধর্ম এতে কোনো সন্দেহ নেই। যত নবী-রাসুল পৃথিবীতে এসেছেন তাঁদের সবার দ্বীন ছিল ইসলাম যার মূল শিক্ষা হচ্ছে তাওহীদ, রিসালত ও আখিরাত। প্রত্যেক নবী তাঁর জাতিকে তাওহীদের দিকে ডেকেছেন এবং রিসালতে ঈমান এনে আল্লাহর বিধান শিরোধার্য করার আদেশ করেছেন।

আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা আল বাকারা, আয়াত ২০৮)

মুমিনগণ কিসের ভিত্তিতে জীবন চালাবেন এবং কোনটি তাদের জীবন নির্বাহের পথ, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাই তাঁর আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ‘সিরাতুল মুস্তাকীম’-এর পথ দেখানো। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রাসুলগণের একজন। সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (সুরা ইয়াসিন, আয়াত ৩-৪)

বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.)-এর প্রতি সবিশেষ অহি ছিল দ্বীন হিসেবে ইসলামের পরিপূর্ণতা নিয়ে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত পূর্ণ করলাম; আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে নির্বাচন করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত ৩)

আল্লাহতায়ালা মানব কল্যাণে ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ‘ইসলাম’কে নির্বাচন করেছেন। ইসলাম সকল প্রকার সমস্যা ও জটিলতামুক্ত এবং সহজতর একটি দ্বীন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ব্যাপারে সহজতা চান, জটিল বা কঠিনতা চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)

ইসলাম উদার ও মানবিকতাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। কোনোরূপ সংকীর্ণতা বা বাড়াবাড়ির জায়গা ইসলামে নেই। মানব জাতির বৃহত্তর কল্যাণের নিমিত্তে ইসলামের আগমন। অন্ধকার ও জাহালত থেকে মুক্ত করে মানব জাতিকে সত্যের দিশা দিতে মহামহিম আল্লাহ ইসলামকে নির্বাচন করেছেন। আল্লাহ বলেন, তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোনো সংকীর্ণতা বা কঠোরতা চাপিয়ে দেননি।’ (সুরা হজ, আয়াত ৭৮)

সকল প্রকার প্রান্তিকতামুক্ত উদার ও মধ্যমপন্থাই হলো শ্রেষ্ঠতম পথ। আল্লাহতায়ালা এই দ্বীনকে একটি মধ্যমপন্থি দ্বীন বানিয়েছেন। আর ইসলামের অনুসারীগণ হলো মানবকূলের মধ্যে একমাত্র মধ্যমপন্থি ও সাক্ষ্যদানকারী জাতি। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যমপন্থি জাতিতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির ওপর সাক্ষী হও এবং রাসুল তোমাদের ওপর সাক্ষী হতে পারেন। (সুরা বাকারা, আয়াত ১৪৩)

পৃথিবীর সকল জড়বস্তু ও জীববস্তু আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছে বা ইসলামের উপর রয়েছে। এরপরেও যারা অবিশ্বাস করে ও ইসলাম বাদ দিয়ে অন্য পথ তালাশ করে তাদের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে? অথচ আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত এবং তাঁর নিকটই ফিরে যাবে। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৮৩)

আল্লাহতায়ালা এ উম্মতকে বাছাই করেছেন এবং মানবতার কল্যাণে তাদেরকে উত্তম উম্মত হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা হলে সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১১০)

আল্লাহ সৃষ্টিকুলের রব এবং তিনি মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে সৃষ্টিকুলের জন্যই রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব। (সুরা আল-ফাতিহা, আয়াত ২)। আল্লাহ বলেন, তিনি বরকতময়, যিনি তাঁর বান্দার উপর ফুরক্বান নাযিল করেছেন, যেন সে জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে। (সুরা আল-ফুরক্বান, আয়াত ১)

দুনিয়ার প্রথম নবী ও মানুষ হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আগ পর্যন্ত সকল নবীই ইসলাম প্রচার করেছেন। তবে সময়ের সাথে সাথে মানুষ ইসলামকে বিকৃত করেছে। সেজন্য ইসলামকে সঠিভাবে প্রচারের জন্য মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) শেষ নবী হিসাবে প্রেরণ করা হয় এবং মানব জাতির কল্যাণের জন্য তার আবির্ভাব হয়। দুনিয়ায় নাজিলকৃত সকল আসমানী কিতাবের মূল বিষয়গুলোর আল কোরআনে উল্লেখ আছে এবং আল কোরআন সর্বশেষ আসমানী গ্রন্থ। যে ইসলাম কবুল (গ্রহণ ) করে তাকে মুসলিম (আল্লাহর অনুগত ) বলে।

দ্বীনের দিকে দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা এ উম্মতকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সম্মানিত করেছেন। আল্লাহ বলেন, বলুন, ইহাই আমার পথ, আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সুরা ইউসুফ, আয়াত ১০৮) অচিরেই এই দ্বীন সর্বত্র পৌঁছবে, যেমন দিন রাত্রি পৌঁছে। অতঃপর তা অপরিচিত অবস্থায় ফিরে আসবে যেভাবে সূচনা হয়েছিল।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আহ্বান করো তোমাদের রবের পথে, হিকমাহ এবং সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে।’ (সুরা-১৬ নাহল, আয়াত: ১২৫)।

হাদিসে জিবরিল খ্যাত ঐতিহাসিক একটি হাদিসে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। একবার নবী (সা.) সবার সামনে উপবিষ্ঠ ছিলেন। তখন আগন্তুকের বেশে জিবরীল (আ.) এসে নবীকে (সা.) কিছু প্রশ্ন করেন। তন্মধ্যে একটি হলো, ‘ইসলাম’ কী? উত্তরে নবী (সা.) বলেন, ইসলাম হলো, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, ফরজকৃত বিধান জাকাত প্রদান করবে আর রমজানের সিয়াম পালন করবে। (বুখারি : ৫০)। এখানে ইসলামের পরিচয় দিতে গিয়ে পাঁচটি মূল ভিত্তির কথা বলা হয়েছে যেগুলো ইসলামের স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত। ইসলাম ধর্ম পাঁচটি স্তম্ভ বা মূল বিষয়ের উপর স্থাপিত। এগুলো হল – কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাত।

কালেমা বা ঈমান: ঈমান শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকার করা ইত্যাদি। ঈমানের কালিমা হলো “লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। এর অর্থ - আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল। এই পবিত্র বাক্যটিকে ইসলামের প্রবেশদ্বার বলা হয়। এটি পাঠ করা ছাড়া কেউ মুমিন দাবি করতে পারবে না। এমনকি এটি স্বীকার করা ছাড়া যত আমলই করুক না কেন সেটা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা। বাক্যটি পাঠ করার মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-চেতনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। কোনো ব্যক্তি সারাজীবন শিরক ও কুফরিতে লিপ্ত থেকে জীবনের শেষ সময়ে এসে যদি বাক্যটি মনেপ্রাণে পাঠ করে তা হলে সেও আল্লাহর কাছে মুক্তি ও সফলতা লাভের যোগ্য হয়ে যায়।

কালিমা তায়্যিবাহ এর তাৎপর্য হলো- কালিমা তায়্যিবাহ ঈমানের ভিত্তি: মূলত কালিমা তায়্যিবা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ ও মর্যাদাবান বাক্য। ঈমান হলো তিনটি বিষয়ের সমষ্টি। ১. মৌখিক স্বীকৃতি। ২. অন্তরে বিশ্বাস। ৩. তদনুসারে আমল করা। উক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে মৌখিক স্বীকৃতির বিষয়টি কালিমা তায়্যিবাতে পাওয়া যায়। এটি কয়েকটি অক্ষরের সমন্বয়ে হলেও মিজানের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, আর ফেরেশতা ও জ্ঞানীগণও (সাক্ষ্য দেন) ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৮)

এ বিশ্বাসের সাথে সাথে বিস্তৃত বা বিস্তারিতভাবে বিশ্বাস করা ‘আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসুলগণের প্রতি, কিয়ামতের দিনের প্রতি, তাকদিরের প্রতি, ভাগ্যের ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি’।

নামাজ: নামাজ বা সালাত ইসলাম ধর্মের একটি দৈনিক নিয়মিত ও বাধ্যতামূলক ইবাদত। প্রতিদিন পাঁচবার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সকল প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীকে নামাজ আদায় করতে হয় যা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। শরীয়ত সম্মত কারন ব্যতীত এটি পালন না করলে বা ছেড়ে দিলে শাস্তির কথা বলা আছে। এটি মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন অবশ্য করণীয় একটি ধর্মীয় কাজ, তবে প্রতিদিন অবশ্য করণীয় বা ফরজ ছাড়াও আরও কিছু নামাজ রয়েছে যা সময়ভিত্তিক বা বিষয়ভিত্তিক।

রোজা: রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'বিরত থাকা'। আর আরবিতে এর নাম সাওম, বহুবচনে সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ,যার অর্থ অবশ্য পালনীয়। যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন।

হজ: হজ ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা। এটি ইসলাম ধর্মের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক। আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজের জন্য নির্ধরিত সময়। হজ পালনের জন্য বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরী এবং সন্নিহিত মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান আবশ্যক।

যাকাত: যাকাত শব্দ যার অর্থ পরিশুদ্ধ করা, বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্র হওয়া, প্রাচুর্য, প্রশংসা ইত্যাদি। সম্পদের যাকাত হলো ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলে। যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।

পবিত্র কুরআন গোটা জাতিকে মুমিন এবং কাফির দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, " তিনি যাকে চান বিপথগামী করেন এবং যাকে চান সঠিক ও সোজা পথে পরিচালিত করেন" (সুরা আল আনয়াম, আয়াত - ৩৯)।

আল্লাহ বলেন, সুতরাং আল্লাহ যাকে সঠিক পথ দেখাতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্যে প্রশস্ত করে দেন, এবং যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান, তার বক্ষকে সঙ্কীর্ণ-সঙ্কুচিত করে দেন, যেন সে আকাশের মধ্যে আরোহণ করছে, এইভাবেই যারা ঈমান আনে না তাদেরকে আল্লাহ অপবিত্র রাখেন। আর এই সঠিক পথ হল তোমার রবের সরল পথ; আমি আয়াত সমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেছি সেইসব লোকদের জন্য যারা উপদেশ গ্রহণ করে। তাদের জন্যেই তাদের রবের নিকটে রয়েছে শান্তির আবাস এবং তিনি তাদের অভিভাবক, তাদের আমলের (কর্মের) কারণে। (সুরা আল-আন‘আম, আয়াত ১২৫-১২৭)

আল-কুরআনে বারবার মানুষের অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজসমূহকে হিদায়াত ও গোমরাহীর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব, এখানে অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজসমূহকে হিদায়াত পাওয়ার দাবীদার করা হয়েছে । হিদায়াতের মতো গোমরাহীকেও একইভাবে বলা যায়। মানুষের জীবনে ভালো আমলসমূহ হিদায়াতের ফলাফল। ভালো কাজ যত বেশি হবে হিদায়াতও তত বেশি পাবে। এমনিভাবে পাপ কাজ যত বেশি হবে গোমরাহীও তত বেশি হবে। কেননা আল্লাহ ভালো কাজ পছন্দ করেন, তাই সৎকর্মশীলকে হিদায়াত এ সফলতা দান করে পুরস্কৃত করেন। পুরস্কার হিসেবে রেখেছেন জান্নাত বা বেহেশত। আল্লাহ মানুষের পাপ কাজ অপছন্দ করেন এবং পাপাচারীকে গোমরাহী ও দুঃখ-কষ্ট দিয়ে তাকে শাস্তি প্রদান করেন। পাপিষ্ঠ মানুষের ঠিকানা রেখেছেন জাহান্নাম বা নরক।

আল্লাহ উত্তম, তাই তিনি উত্তম ও সৎকর্মশীলকে ভালোবাসেন। তাদের সৎকর্ম অনুযায়ী তিনি তাদের অন্তরসমূহকে তাঁর নিকটবর্তী করেন। আবার তিনি যেহেতু অসৎ কাজ ঘৃণা করেন, ফলে অসৎ কাজের পরিমাণ অনুযায়ী তিনি তাদের অন্তরসমূহকে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে দেন। প্রথম মূলনীতি হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী," আলিফ-লাম-মীম। এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত"। (সূরা বাকারা, আয়াত - ১-২)।

পৃথিবীতে মানুষের চলার পথ দুটি। একটি হলো সরল সঠিক পথ বা সিরাতুল মুস্তাকীম। অপরটি গোমরাহীর পথ। এ দু’পথের যে কোনো পথে মানুষ পরিচালিত হতে পারে। এজন্যে পরকালেও জান্নাত এবং জাহান্নাম এ দু’ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

জান্নাত অর্থ ঘন সন্নিবেশিত বাগান, বাগ-বাগিচা। ইসলামী পারিভাষায় জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায়, যা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর অনুগত বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। যা দিগন্ত বিস্তৃত নানা রকম ফুলে ফুলে সুশোভিত সুরম্য অট্টালিকা সম্বলিত মনোমুগ্ধকর বাগান; যার পাশ দিয়ে প্রবাহমান বিভিন্ন ধরনের নদী-নালা ও ঝর্ণাধারা। যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান। জান্নাত চিরশান্তির জায়গা। সেখানে আরাম- আয়েশ, সুখ-শান্তি, আমোদ-প্রমোদ, চিত্ত বিনোদন ও আনন্দ-আহলাদের চরম ও পরম ব্যবস্থা রয়েছে। ক্ষণস্থায়ী এ মানব জীবনে যারা মহান আল্লাহপাকের আদেশগুলো যথাযথ পালন করবেন , নিষেধগুলি বর্জন বা ত্যাগ করে শরিয়ত নির্দেশিত পথে জীবন যাপন করবে এবং শেষবিচারের দিন যাদের আল্লাহপাকের রহমত,ক্ষমা ও মাগফেরাত লাভ নসীব হবে তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জান্নাত এবং তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। জান্নাতে কোন দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে, " তারা সেখানে কখনও কোন দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হবে না এবং কোনদিন সেখান থেকে তাদেরকে বের করে দেয়া হবে না" (সূরা হিজর,আয়াত - ৪৮)"। মহান আল্লাহপাক মুমিনদের জন্য ৮ টি জান্নাত তৈরী করে রেখেছেন। এদের মধ্যে জান্নাতুল ফিরদাউস সবচেয়ে সেরা। এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে, " নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের আতিথেয়তার জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফিরদাউস। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, সেখান থেকে তারা স্থানান্তরিত হতে চাইবে না"। (সুরা আল কাহফ, আয়াত - ১০৭-১০৮)। মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।

জাহান্নাম হচ্ছে পরলোকের নানা রকমের অসহনীয় যন্ত্রণার বিশাল কারাগার যা একটি বিশাল এলাকা যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে।। চির দুঃখ-কষ্ট-পেরেশানী, লাঞ্ছনা-গঞ্জনা, অপমান, বিড়ম্বনা, দুর্ভাগ্য, লজ্জা-শরম, ক্ষুধা-পিপাসা, আগুন, অশান্তি, হতাশ-নিরাশা, চীৎকার-কান্নাকাটি, শাস্তি, অভিশাপ, আযাব-গযব ও অসন্তোষের স্থান হলো জাহান্নাম। শান্তির লেশমাত্রই সেখানে নেই। হাত-পা ও ঘাড়-গলা শিকলে বেঁধে বেড়ি পরিয়ে দলে দলে জাহান্নামের অতল গহবরে নিক্ষেপ করা হবে। যেখানে শুধু অতিবেশি তেজ ও দাহ্য শক্তিসম্পন্ন আগুন ছাড়া আর কিছু নেই। দোযখের অগ্নিশিখা তাদেরকে উপর, নীচ এবং ডান ও বাম থেকে স্পর্শ করবে, জ্বালাতে-পোড়াতে থাকবে। একবার চামড়া পুড়ে গেলে আবারো নুতন চামড়া গজাবে যেন বার বার আগুনের স্বাদ আস্বাদন করতে পারে। পিপাসায় প্রাণ পেটের নাড়ি-ভূঁমি গলে যাবে। এ হচ্ছে, আজাবের উপর আযাব। তাতে পিপাসা না কমে আরো তীব্র হবে। অতি দুর্গন্ধময় যাক্কুম এবং কাঁটাযুক্ত ঘাস ও গিসলিন হবে তাদের খাদ্য। ক্ষুধার তাড়নায় জঠর জ্বালায় তা ভক্ষণ করতে গেলে পেটের ভেতরে আরো যন্ত্রণা বাড়াবে। খাদ্য এবং পানীয় হবে আযাবের অন্যতম উপকরণ। ক্ষণস্থায়ী এ মানব জীবনে যারা মহান আল্লাহপাকের আদেশগুলি যথাযথ পালন করবেনা, নিষেধগুলো বর্জন বা ত্যাগ না করে নিজের খেয়াল খুশিমত জীবন যাপন করবে এবং শেষবিচারের দিন যারা আল্লাহপাকের রহমত,ক্ষমা ও মাগফেরাত লাভ করতে ব্যর্থ হবে তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জাহান্নাম এবং তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। সেখানে প্রতি মুহূর্তে তারা তাদের মরণ কামনা করবে তবে তারা মরবেনা। এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে,"নিশ্চয় জাহান্নাম ওৎ পেতে অপেক্ষমান,সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তনস্থল। সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে"। (সুরা নাবা, আয়াত - ২১-২৩)। আল্লাহপাক পাপীদের জন্য ৭ টি জাহান্নাম তৈরী করে রেখেছেন। মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে জাহান্নামের আযাব-গযব থেকে হেফাজত করুন।

ইসলাম মানুষের সামগ্রিক জীবনের শান্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের পথ। ইসলাম একটি দীর্ঘ ও একটি জীবনাদর্শ। মুসলিম উম্মাহর উচিত, দ্বীন ও ইসলামের ওপর অটল ও অবিচল থেকে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা অনুগ্রহ লাভ করা। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করা। যারা মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করেন, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার। তাদেরকে আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করবেন।

সর্বোপরি তার জন্য রয়েছে ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ। বিশ্বের যে কোনো ধর্ম, বর্ণ ও জাতি গোষ্ঠীর লোকেরাই ইসলামকে তাদের জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করলে তারা অবশ্যই বিশ্বের সেরা, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বসুন্দর মানব দলে পরিণত হবে। পরকালে মুক্তির জন্য ধর্ম হিসেবে ইসলাম ধর্মকেই বেছে নিতে হবে। মুক্তির পথ কেবল দ্বীন ইসলামই।

ঢাকাটাইমস/০৬জানুয়ারি/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :