কে হচ্ছেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি

রুদ্র রাসেল, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫০ | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:২৪

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) মেয়াদ শেষ হয়েছে। শিগগির নতুন ভিসি পেতে যাচ্ছে দেশের মাদ্রাসাগুলির উচ্চশিক্ষা দেখভাল করা এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এরই মধ্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের দৌড়ঝাঁপের তথ্যও মিলেছে। আগামী মেয়াদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল কে ধরছেন তা নিয়ে আলোচনাও চলছে। আলোচনায় উঠে আসছে উপাচার্য হিসেবে যোগ্যতার নানা দিকও।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের নাম প্যানেল করে সারসংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে একজনকে ভিসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য।

জানা গেছে, ভিসি হতে আগ্রহী শিক্ষকের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ‘আ’ আদ্যাক্ষরের এক অধ্যাপকের নামও রয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ভাগ্নি জামাই বলে আলোচনা আছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, যোগ্য কোনো শিক্ষক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে না এলে মাদ্রাসায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যই আদর্শচ্যুত হবে।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের অনুমোদিত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাগুলির তত্ত্বাবধানের লক্ষ্যে শত বছরের বহুল প্রতীক্ষিত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে ১ হাজার ৩০০টিরও বেশি ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার যাবতীয় কার্যক্রম তদারকি, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক নিয়োগ ও অনুমোদনের কাজ করে।

২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসান উল্লাহ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় নিয়োগ পান তিনি। সদ্য বিদায়ী এই উপাচার্যের দ্বিতীয় দফা নিয়োগের মেয়াদ ২ জানুয়ারি শেষ হয়েছে।

আহসান উল্লাহর দুই মেয়াদের সাত বছরে তার বিরুদ্ধে লোকবল নিয়োগে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম থেকে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততাসহ সব অভিযোগ নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে অপসারণের সুপারিশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্চুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এদিকে দেশের অনুমোদিত মাদ্রাসার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোর্সের তত্ত্বাবধানকারী ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য ও প্রশাসসিক ভাবে দক্ষ ভিসির নিয়োগ প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওয়াকিবহাল শিক্ষকরা বলছেন, মাদ্রাসায় উচ্চশিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য অ্যাকাডেমিক এবং প্রতিষ্ঠান চালাতে দক্ষ একজনকে ভিসি নিয়োগের বিকল্প নেই। পাশাপাশি তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভাবাদর্শের কি না তাও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা তিন শিক্ষকের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছি। শিগগির ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঘাটারচর ও মধ্যেরচর মৌজায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য মোট ১৭ .৮৯৪ একর ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/আরআর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আল্টিমেটাম

ইবি বিজনেস ক্লাবের যাত্রা শুরু; সভাপতি নাজিম, সম্পাদক রাফায়েল

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন পাবনার দুলাল

স্বাধীন ফিলিস্তিন আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সমাবেশ

বেরোবি ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে পাঠদান

বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা 

ইবি এবং তুরস্কের ইগদির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক

‘কর্মনিষ্ঠ ও ত্যাগী পেশাজীবীকে প্রতিষ্ঠান সবসময় মনে রাখবে’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :