ঝিনাইগাতীতে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মো. আব্বাস উদ্দিন, শেরপুর
| আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:২২ | প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৬

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষকরা মূলত কৃষি নির্ভরশীল। এই উপজেলার কৃষকরা সারা বছরই নানা জাতের কৃষি ফসল উৎপাদন করে থাকেন।

অত্র এলাকার কৃষকরা প্রধানত ধান পাট সবজির পাশাপাশি নানা জাতের ফসল উৎপাদন করে থাকেন। তবে এ বছর গমের বাজার ভালো থাকায় অনেক কৃষক গম চাষে ঝুঁকেছেন।

দিঘিরপাড় গ্রামের গম চাষি নূর-ইসলাম, আব্দুল হালিম, রাশেদুজ্জামান, জবেদ আলী ও জনাব আলীসহ অনেকে জানায়, এ বছর আমরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনেক জমিতে গম চাষ করেছি। গমের উৎপাদনও ভালো হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের আশা করছি। বর্তমানে গমের বাজার ভালো থাকায় আমাদের চাষাবাদকৃত গম থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবো। যদি গমের বাজার ভালো থাকে অত্র অঞ্চলের কৃষকেরা আবারও গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক কৃষক গম চাষ করেছেন। কারণ বর্তমান গমের বাজার মূল্য গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে অনেকে গম চাষ করতেন। গমের উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড়, রামনগর, চতল, খৈলকুড়াসহ আরও অনেক এলাকায় গম চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে গম চাষ করতে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। গম উৎপাদন হয় প্রতি একর জমিতে ৫০-৬০ মণ। বর্তমানে গমের বিক্রয় মূল্য প্রতি মণ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা। এতে উৎপাদন খরচ মিটিয়ে অনেক টাকা লাভবান হবে কৃষক। গমের বাজার মূল্য ভালো থাকায় গম চাষিরা বেজায় খুশি। ইতোপূর্বে গম চাষিদের উৎপাদিত গম বাজারে বিক্রি করে খরচ মিটিয়ে লাভ হতো না। যে কারণে অনেক কৃষক গম চাষ থেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এখন গমের বাজার ভালো হওয়ায় অত্র এলাকার কৃষকরা আবারও গম চাষের দিকে ঝুঁকেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :