লতিফ সিদ্দিকী কি আওয়ামী লীগের ক্ষমা পাচ্ছেন? কৌতূহল টাঙ্গাইলে

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়াসহ নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘ক্ষমার চিঠি’ দেওয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এরইমধ্যে কয়েকজন নেতা ক্ষমার চিঠি পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বহিষ্কৃতদের দলে ফেরানো হতে পারে। দলের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে ক্ষমার চিঠি পেতে পারেন সব বহিষ্কৃত নেতাই।
তবে ৯ বছর আগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী এখনও ক্ষমার চিঠি না পেলেও তার অনুসারীদের ধারণা, ক্ষমা পাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে টাঙ্গাইলজুড়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা এখন তুঙ্গে। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমার আবেদন করেছেন কি না, সে বিষয়ে মুখ খুলছেন না দলের মতের বাইরে গিয়ে মন্ত্রীত্ব হারানো এই নেতা। অনুসারীরাও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে তাদের ধারণা, তাকে এবার ক্ষমা করবে আওয়ামী লীগ।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের নেতাকর্মীরা জানান, এক সময় এই আসনে লতিফ সিদ্দিকীর বিকল্প ছিল না। প্রায় নয় বছর আগে বির্তকিত বক্তব্যের কারণে বহিষ্কৃত হন দলের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য। আর দলে ফিরতে পারেননি। তবে সম্প্রতি টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে যোগদানের পর তিনি ফের দলে ফিরছেন বলে আলোচনা জোরালো হচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সবমিলিয়ে তার অনুসারী নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ক্ষমা করবে তাকে। টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষের মধ্যেই এ নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে। তাদের একটাই প্রশ্ন- ‘সত্যিই কি লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমা পাচ্ছেন?’
তবে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ঢাকা টাইমসের কাছে দাবি করেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা ও ক্ষমার বিষয় নিয়ে তিনি কোনো কিছু ভাবছেন না।
পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করায় মন্ত্রিত্ব ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদ হারান লতিফ সিদ্দিকী। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও চূড়ান্তভাবে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
দলে ফেরা ও ক্ষমার বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাকে দলে ফেরাবে এমন প্রস্তুতি দেখি না। আমি এই বিষয়ে মতামত দেব কেনো। আমার তো বয়স অনেক। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ এতকিছু দেখলাম। তাই জ্যোতিষির মতো আমাকে নিয়ে কিছু বিবেচনা হবে না। সুতরাং এসব নিয়ে ভাবি না।’
এদিকে আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা, আদর্শিক অবস্থান মজবুত রাখার স্বার্থে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আওয়ামী লীগ কঠোর। তবে কেউ যদি নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং স্বীকার করে, তাহলে সুযোগ দেওয়া স্বাভাবিক। মানুষ তো ভুলের ঊর্ধ্বে না। দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা বা অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনা আওয়ামী লীগের জন্য নতুন কিছু নয়।
(ঢাকা টাইমস/৩০জানুয়ারি/জেএ/আরআর/ইএস)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

বিএনপির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে: নানক

‘জামায়াত ও তাদের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়’

‘অখণ্ড ভারতে’র মানচিত্র প্রদর্শন স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকারের শামিল: লেবার পার্টি

একমাত্র খালেদা জিয়াই প্রধানমন্ত্রীর রক্ষক: দুদু

বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই: হানিফ

জামিন পেয়েও মুক্তি মেলেনি বিএনপি নেতা মজনুর

ভিসানীতি ও স্যাংশন আমাদের জন্য লজ্জার: মির্জা ফখরুল

বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ বানানোর চেষ্টা চলছে: জিএম কাদের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ঢাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের
