ঝিনাইদহে অনুমোদনহীন দোকানে বিক্রি হচ্ছে অকটেন, পেট্রল ও সিলিন্ডার গ্যাস

মো. শাহানুর আলম, ঝিনাইদহ
  প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫২| আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০০
অ- অ+

কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ঝিনাইদহে প্রশাসনের নাকের ডগায় হাট-বাজারে যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে অকটেন, পেট্রল ও এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস।

জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে অকটেন-পেট্রল, এলপিজি গ্যাসসহ নানা জাতীয় তরল দাহ্য পদার্থ। রাস্তার পাশে সারি সারি সাজানো বোতলের বাহারি রং দেখলেই মনে হবে সরকারি অনুমোদন নিয়েই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছে।

উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে একাধিক স্থানে রয়েছে এসব দোকান। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে খোলা বাজারে এসব বিক্রি হচ্ছে।

খোলা বাজারে অনুমোদনহীন দোকান থেকে অকটেন ও পেট্রল কিনে যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা ঘটাতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে সহজ সরল পথচারী ও স্থানীয় জনগণ।

জানা গেছে, জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা-পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোথাও কোথাও ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সও নাই। এইসব দোকানে নেই কোনো আগুন নির্বাপক যন্ত্র, আবার থাকলেও সেটা রাখা হয় অন্য জায়গায়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলে তার প্রতিকারের নিয়ম জানা নেই এই ব্যবসায়ীদের।

জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার এমনকি গ্রামের মুদি ও চায়ের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এসব দাহ্য পদার্থ।

সদরের হলিধানী বাজার, বৈডাঙ্গা, ডাকবাংলা, বিষয়খালী, বাজার গোপালপুর, মধুপুর, নারকেল বাড়ীয়া, কুষবাড়িয়া, হরিণাকুণ্ড উপজেলার কুলবাড়িয়া, সাতব্রিজ, ভবানীপুর, রামনগর, নারায়ণকান্দি, দখলপুর, রিশখালী, সোনাতনপুর, শিতলী, ভালকী, পায়রাডাঙা, শাখারীদহ, চাঁদপুর, রঘুনাথপুর, চরপাড়া, জোড়াদহ, ভায়না, কসাই মোড়, আমেরচারা, পার্বতীপুর, হলবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে বাইরে থেকে ড্রামে করে তেল এনে প্রকাশ্যে এসব বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার সড়কের পাশে প্রশাসনের নাকের ডগায় রয়েছে এসব দোকান।

উপজেলার লোহা পট্রিতে মবিল ও পেট্রল ব্যবসায়ী আলিমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি ১৯৭৪ সালে অনুমোদন নিয়ে পেট্রল ব্যবসা করে আসছি। আমার অনুমতি পত্র হরিণাকুণ্ড থানায় দেওয়া আছে, আমার কাছে নেই।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিলু জানান, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নাই। আমি বেশ কয়েকবার আইন শৃংখলা মিটিংয়ে বলেছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, খুব দ্রুতই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা করেন।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, প্লাস্টিক বোতলে পেট্রোল বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে সেটা অপরাধ। তাছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার ১০ টির উপরে বিক্রয় করলে সেটা আইন বিরোধী। খুব শিগগিই এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা জানান, বর্তমান বাজারে যারা এসব ব্যবসায় করে আসছে খুব শিগগিরই উপজেলা প্রশাসন থেকে বাজার মনিটরিং করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কড়া বার্তা দিতেই ভাঙা হয়েছে ৩টি রিকশা, ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের উদ্যোগ ডিএনসিসির
জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আ.লীগ নিষিদ্ধ জরুরি ছিল: প্রেস সচিব
ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে খাবারে ভিন্নতা আনতে হবে
ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি আকাশ গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা