মৌলভীবাজার-চাতলাপুর সড়ক বেহাল

আব্দুল বাছিত বাচ্চু , মৌলভীবাজার
 | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৭

মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কে ধলাই সেতুর মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ধলাই সেতুর দেবে যাওয়া অংশে একটি অস্থায়ী বেইলি সেতু স্থাপন করে সড়ক উন্মুক্ত করা হয়েছে। ফলে এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।

রবিবার দুপুরে জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কে ধলাই নদীর ওপর দেবে যাওয়া সেতু এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বালুবোঝাই সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী বেইলি সেতু স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি নদীর পূর্বপারে সেতুর পাশে নদীর মাটি ধসে পড়া অব্যাহত আছে।

সেতুর পাশের চৈত্রঘাট বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন দে-সহ স্থানীয়রা জানান, সেতুটি চালু করা হলেও কোনো সতর্কতা জারি না থাকায় ভারি যানবাহন উঠে যেকোনো সময় আবার সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।

মৌলভীবাজারের সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে জনান, মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কে অস্থায়ী বেইলি সেতু হয়ে ৩ টনের অধিক ভারি যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি রয়েছে। আমরা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলাম। কিন্তু কে বা কারা তা উঠিয়ে নিয়ে যায়।

সড়ক বিভাগ জানায়, মৌলভীবাজার চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কে ধলাই সেতুর মুখে সড়ক দেবে বিশাল ফাটল দেখা দিলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে এই সড়কে লাল পতাকা টানিয়ে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। ১২ দিন চেষ্টার পর ২৯ ডিসেম্বর অস্থায়ীভাবে যান চলাচলের জন্য এখানে একটি বেইলি সেতু চালু করা হয় । কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না যেতেই শুক্রবার কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক উঠে সেতুটি ভেঙে পড়ে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার বিপুলসংখ্যক মানুষ আবারো দুর্ভোগে পড়ে। পরে মেরামত কাজ করে পুনরায় ১ জানুয়ারি আবার তা চালু করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, ১৯৮৮ সালে কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর ওপর ৫২ মিটার লম্বা এবং ৩ দশমিক ৭ মিটার প্রস্তের ওই সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। পরে সওজের গুরুত্ব বেড়ে গেলে সড়কটি অধিগ্রহণ করে মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগ।

চৈত্রঘাট এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গুরুর স্থাপনার উভয় পাশে এক কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও এখানে প্রতিনিয়ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে ধলাই নদীর বালু উত্তোলন করা হয়। তাদের দাবি, সেতু এলাকায় অধিক বালু উত্তোলনের ফলেই নদী পাড়ের মাটি ধসে গেছে। শুধু সেতুই নয়, নদীর পাড়ের প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা দিয়ে ফাটল দেখা দেয়।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এলএ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :