সিলেট রেঞ্জের নতুন ডিআইজি শাফিউর রহমানের যোগদান

সিলেট রেঞ্জের নতুন ডিআইজি হিসেবে যোগদান করেছেন এন্টি টেরিরিজম ইউনিটের শাহ মিজান মো. শাফিউর রহমান। তিনি রবিবার বিকালে সিলেটে যোগদান করে সোমবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শাহ মিজান মো. শাফিউর রহমান ২০০১ সালে এএসপি হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশ পুলিশে। যোগদানের পর থেকেই তিনি অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে পেশা দারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
একে একে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত ডিআইজি ও সর্বশেষ সম্প্রতি ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করার পর কিছুদিন তিনি এন্টি টেরিরিজম ইউনিটে দায়িত্ব পালন করে সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদায়িত হন।
শাহ মিজান শাফিউর রহমান অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক পদে রংপুর রেঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সুনাম অর্জন করেন।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-তে কর্মরত ছিলেন। কর্মদক্ষতা ও সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের বিপিএম, পিপিএম পদক লাভ করেন পুলিশের ২০তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা।
তিনি পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব পালনকালে ছক কষেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি তা টেকসই করার। কর্ম-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে কর্মস্থলে এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের নিকট বেশ জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। লক্ষীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাদক, সন্ত্রাস আর চাদাবাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন। অত্যন্ত বিনয়ী, সৎ আর সাহসী কর্মকর্তা হিসেবে সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ডিআইজি শাফিউর রহমান। জনসাধারণের মাঝে আস্থা এবং নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যখন যে জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন সে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ইউনিয়ন এবং বাজারগুলোতে জনসাধারণের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নিয়মিত মতবিনিময় করেছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক এবং ইভটিজিং-এর নৈতিক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করেছিলেন।
তিনি ঢাকার রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) থেকে শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৬ সালের ১৬ জুন।
পুলিশের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা ২০০১ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে। দিনাজপুর জেলা, সিএমপি, র্যাব, এসবি, যশোর, লক্ষীপুর, ঢাকা জেলায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা এই কর্মকর্তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে বহু প্রশংসা আর পদক। দু’বার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘জাতিসংঘ শান্তি পদক’।
নাটোর জেলার লালপুর থানার মুরদহ গ্রামে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)

মন্তব্য করুন