বাউফলে বয়স্ক ভাতা দেওয়া কথা বলে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০২৩, ১২:২৪
ভুক্তভোগী রওশনা বেগম।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বয়স্ক ভাতা দেওয়া কথা বলে সত্তরোর্ধ্ব এক বয়স্ক নারীকে সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে নিয়ে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি পরে জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় ওই নারী বৃহস্পতিবার বাউফল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ও নারীর নাম রওশনা বেগম। রওশনা উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের মৃত মোসলেম ফকিরের স্ত্রী।

রওশনা বেগম বলেন, আমার মামাতো ভাই ফজলে আলী হাওলাদারের ছেলে শহিদ, মোসলেম ও আরেক মামাতো ভাই সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে মো. মামুন হোসেন আমাকে বয়স্ক ভাতার নাম দেওয়ার কথা বলে বাউফল এক অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে একটা কাগজে টিপ সই দিতে বলে। আমি না বুঝে টিপসই দেই। পরে তারা আমাকে ২৫ হাজার টাকা দেয়।

রওশনার ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪৫) বলেন,‘ আমার মা অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। তাকে বয়স্ক ভাতার নাম দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে বাউফল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে শহিদুল ইসলাম, মোসলেম ও মামুন প্রত্যেকে ৪.৭৬ শতাংশ করে মোট ১৪.২৯ শতাংশ জমি দলিল করে লিখে নেয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।

প্রায় আড়াই মাস পর বিষয়টি আমি জানতে পারি। এরপড় তাদের (যারা লিখে নিয়েছে) কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্থানীয়ভাবে বসে এটার একটা সমাধান করা হবে।

গত রবিবার স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তারা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেবেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু দুইদিন পার হলেও তারা কোনো টাকা দেয়নি। টাকা চাইলে তারা বলেন, কোনো টাকা দেওয়া হবে না। জমি তারা কিনে নিয়েছেন।

বয়স্কভাতার নাম দেওয়ার কথা বলে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. শহিদুল ইসলাম, মো. মোসলেম ও মামুন হোসেন বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। রশনা বেগম স্বেচ্ছায় আমাদের জমি লিখে দিয়েছেন।’ সালিশ বেঠকে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

এ বিষয়ে বাউফল সাব-রেজিস্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমা বলেন,‘ দলিল রেজিস্ট্রি করার আগে আমি জমি দাতা নারীর দাতার কাছে একাধিক বার জানতে চাই তিনি স্বেচ্ছায় জমি দিচ্ছেন কিনা। সব জেনে শুনেই জমি রেজিস্ট্রি হয়। এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। তারপরেও যদি প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দলিল বাতিলের জন্য ভুক্তোভোগী আদালতে মামলা করতে পারেন।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :