প্রস্রাবের রাস্তার ছাকনিতে ছিদ্র, শিশু হাসানকে বাঁচাতে দরিদ্র মা-বাবার আকুতি
মাদারীপুরের শিবচরের বহেরাতলা ঢালীকান্দি গ্রামে গরিব দিনমজুর রুবেল ঢালীর শিশুপুত্র হাসান (৪) কিডনির ছাকনি ছিদ্রজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। জন্ম থেকে সুস্থ থাকলেও ৫ বছরের পা রাখতেই শিশু হাসানের পেট ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। বাবা-মা দ্রুত শিশু হাসানকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, শিশু হাসানের কিডনির ছাকনি ফুটো হয়ে গেছে। যে কারণে শিশুটির শরীরে পানি জমে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে পেট অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। আধুনিক চিকিৎসা না করালে হয়তো বা বাঁচানো যাবে না শিশু হাসানকে।
এলাকাবাসী জানায়, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসা চলেছে। প্রায় ২ লাখ টাকার বেশি খরচ করে ফেলেছে শিশুটির দিনমজুর বাবা। শিশু হাসানের অভিভাবকের কাছে চিকিৎসরা জানিয়েছেন, বর্তমানে শিশুটিকে স্থায়ীভাবে অপারেশন না করা গেলেও ১৮ বছর পর্যন্ত এই শিশুটিকে ওষুধ ও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। শিশুটিকে বাঁচাতে হলে এছাড়া আর কোন উপায় নেই। যদিও উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে আধুনিক চিকিৎসা প্রদান করলে শিশুটির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দেশের বাইরে তো দূরের কথা বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোটা এখন দিনমজুর পিতা রুবেলের কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে শিশু হাসান ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরছে। বেঁচে থেকেও নিদারুণ কষ্টে জীবন কাটছে মাত্র ৪ বছর ৮ মাসের এই ছোট্ট শিশুটির। দিনমজুর পিতা ও অসহায় মা’য়ের বোবা আর্তনাদ হয়তো কেউ শুনছে না। কিন্তু শিশুটি শেষ পরিণতি কী হয় তাও কেউ বলতে পারে না। সুস্থ সবল হয়ে জন্ম নিলেও হঠাৎ অচেনা রোগ এসে বাসা বেধেছে শিশু হাসানের শরীরে। শিশুটিকে আধুনিক চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার আকুল আবেদন জানিয়েছেন অবলা মা ও দিনমজুর বাবা। যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি শিশুটিকে সহযোগিতা করতে চান তা হলে যোগাযোগ করতে পারেন। মোবাইল: ০১৭৯০৫২৮৪৫৯।
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এআর)