টঙ্গীতে বিয়ের লোভ দেখিয়ে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২৩, ২১:১১

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিয়ের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের এক শিক্ষিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পোশাক কারখানার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত সারোয়ার হোসেনকে (৪২) আটক করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার সফিউদ্দিন রোড এলাকার ওই শিক্ষিকার বাসা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

পোশাক কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আলমপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তার স্ত্রী এক ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানার দক্ষিণ আউচপাড়া (সালাহ উদ্দিন সরকার গলি) এলাকার রাজ্জাকের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি প্রায় বছরেরও বেশি সময় যাবত ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং সাভারের একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।

প্রতারণার শিকার শিক্ষিকা মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পোশাক কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি জানান, চাকরির পরিচয়ে সারোয়ার হোসেনের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তিনি প্রায়ই আমার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমার স্বামী দুই ছেলে আছে জানিয়ে তার সাথে প্রেম করব না বলে তাকে বলে দেই। কিন্তু তিনি আমার পিছু ছাড়েননি। একপর্যায়ে আমি তার প্রস্তাবে রাজি হই। কিছুদিন পর তিনি আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এভাবে কিছুদিন চলার পর আমাদের প্রেমের বিষয়টি উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হয়। গত প্রায় বছর যাবত এভাবে চলতে থাকলে আমি তাকে দ্রুত বিয়ে করার কথা বলি। বিয়ের কথা বলে তিনি একাধিকবার আমার টঙ্গীর বাসায় এবং ময়মনসিংহের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে রাতযাপন করেন, শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিছুদিন পর বিয়ে করার জন্য তাকে আবার চাপ দিলে তিনি আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বলেন। আমি তার কথা মতো বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে স্বামীকে ডিভোর্স দেই। স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার পর থেকে তিনি আমার সাথে যোগযোগ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে আমাকে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধার পর তিনি আমার বাসায় আসেন এবং আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এসময় তাকে বিয়ে করতে বললে বিয়ে করবেন না বলে জানান। পরে কোনো উপায় না পেয়ে আমি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিলে পুলিশ রাতেই তাকে আমার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার কথা বলে আমার কাছ থেকে লাখ টাকা এবং ভরি স্বর্ণালঙ্কার নেন তিনি।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, ওই নারী প্রথমে টাকা-পয়সা পাওনা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছে। পরবর্তীতে ওই নারী ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ তোলেন। যদিও এসব অভিযোগের পক্ষে প্রাথমিক কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া তারা দুজনেই বিবাহিত এবং প্রাপ্ত বয়স্ক। তাদের উভয়ের ঘরে স্ত্রী এবং দুইটি করে সন্তান রয়েছে। তাই উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আটক সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :