ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত স্কুলছাত্রকে বাঁচাতে অসহায় মা-বাবার আকুতি

আশরাফ গোলাপ, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
 | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৯

নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার দিগদাইর গ্রামের দরিদ্র চা বিক্রেতা শহীদুল ইসলামের এক মাত্র ছেলে শরীফ মিয়া। সে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। পড়ে আছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায়। মা গৃহিণী। শরিফ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারে রয়েছে দুই মেয়ে। সংসার চালিয়ে একমাত্র ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগানো দরিদ্র বাবার পক্ষে কেনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

ছেলে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবে এই স্বপ্ন ছিল মা-বাবার। তাহলে কি তাদের এই স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে! শরীফ কি আর কোনো দিন স্কুলে যেতে পারবে না। সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধূলায় অংশ নিতে পারবে না। এমন দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে তার মা-বাবার।

শরীফ মিয়া কেন্দুয়া পৌরসভার সায়মা শাহজাহান একাডেমির ছাত্র।

তার বাবা শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে শরীফের একটি চোখে সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ চোখের চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন আধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক আকন্দ কর্তৃক চোখসহ মাথায় বিভিন্ন পরীক্ষায় উঠে আসে শরীফের ব্রেন টিউমারের চিত্র।

‘পরে গত (২৭ ফ্রেবুয়ারি) শরীফকে ময়মনসিংহ নিয়ে গিয়ে ব্রেন ও স্পাইন বিশেষজ্ঞ ড. মো. হারুন -অর-রশিদের নির্দেশনায় উন্নত পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে ব্রেন টিউমারের বিষয়টিই ধরা পড়ে। পরে (১ মার্চ) তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

‘ডাক্তার বলেছেন শরীফের ব্রেন টিউমার, চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা গরিব অসহায় মানুষ এত টাকা কোথায় পাব। তাই একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’

এদিকে শরীফের মা রুজিনা আক্তার বলেন, শরীফ বাঁচতে চায়। তার ইচ্ছা ছিল এসএসসি পাশ করে ভালো একটি কলেজে ভর্তি হওয়া। কিন্তু ছেলের মাথায় ব্রেন টিউমার দেখা দেয়ায় লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এই চিকিৎসায় অনেক টাকা লাগে। ছেলের বাবা চা বিক্রি করে যে টাকা আয় করেন, তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তার উপর ছেলের চিকিৎসা সব মিলিয়ে আমরা চরম হতাশাগ্রস্ত।

শরীফের মা রুজিনা আক্তার কাঁদতে কাঁদতে তিনি সমাজের বিত্তবান দানশীল মানুষদের কাছে আর্থিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি আরো বলেন, সবাই সহযোগিতা করলে উন্নত চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে বেঁচে উঠবে শরীফ। আবার লেখাপড়া করতে পারবে।

একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবান দানশীল মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন মা-বাবা।

যারা সহায়তা করতে চান তাদের জন্য বিকাশ নম্বর ০১৯৩৪০৪৮১৭২। (এটি শরিফের বাবা শহীদুল ইসলামের বিকাশ নম্বর)।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :