অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না: ডিআরইউতে তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৩২

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।'

তিনি বলেন, কারও অপরাধ আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এক জিনিস নয়। তাই প্রথম আলোর ঘটনার সঙ্গে সাংবাদিকদের হয়রানির ঘটনা মেলানো যাবে না।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচছা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সহসভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও অতীত নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি ১০ বছরের ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সারাবিশ্বে যে সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলোরও পরিপন্থী।'

তিনি বলেন, এখানে স্পষ্টত জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এ সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারো কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।'

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়- এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি। অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বলে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।'

হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় রাজধানীর পল্লবীতে শুক্রবার বিএনপির ইফতারে সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানান এবং মনে করিয়ে দেন, 'সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সবসময় তা বজায় রাখতে চায়। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর অপরাধ এক জিনিস নয়। দেশের সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো, সম্পাদক, প্রকাশক, শিক্ষক, শিল্পী, সুশীল সমাজও স্বাধীনতাকে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে, বিবৃতি দিয়েছে, কারণ এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।'

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে অভিযোগ খন্ডন করে উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ অ্যান্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরনের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদণ্ড। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে সেই অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তারা আমাদের আইন নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে অথচ এ দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বহু দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’

ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/জেএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বিশ্বের কাছে দেশ ও জনগণের মান ক্ষুণ্নের অপচেষ্টায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ ভয়ে বিরোধীদের ওপর হামলা করছে: ফখরুল

ঢাবি ছাত্রলীগের কর্মসূচি বয়কট করলেন গণমাধ্যমকর্মীরা

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

সমাবেশের অনুমতি চাইতে বিকালে ডিএমপিতে যাবে জামায়াত

ভিসানীতিতে দিশাহারা হয়ে সরকার আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে: আহমেদ আযম

ভয়াবহ লোডশেডিং: বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান নেবে বিএনপি

ভারতে থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন, দেশে ফিরতে ট্রাভেল পাসের অপেক্ষা

ঢাকা-১৭: যে কারণে কাদের খানকে বেছে নিতে পারে আওয়ামী লীগ

বিএনপির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে: নানক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :