কলাপাড়ায় মাঠজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
 | প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে হাসছে কৃষকরা। চারদিকে অবারিত ফসলের মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ। দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন বিশালাকৃতির হলুদ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। কাছে গেলেই দেখা যায় মাঠজুড়ে সূর্যমুখী ফুল। কম খরচে অধিক ফলন ও লাভবান হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকে পড়েছে এ উপজেলার কৃষকরা। ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বিকল্প পদ্ধতি ও অধিক লাভের আশায় দিন দিন সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর মোট ৫৮০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইসান-৩৩ ও বারি সূর্যমুখী জাতের ফুলের চাষ বেশি করেছে কৃষকরা। তবে গতবছরের তুলনায় এবছর প্রায় ১’শ হেক্টর জমিতে এ ফুলের চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় কমবেশি এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস নিশ্চিত করেছেন।

কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা তাদের খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। এতে তারা সুর্যমূখীর বিচি ৩৫’শ টাকার উপরে মণপ্রতি বিক্রি করতে পারবেন। তবে স্থানীয়ভাবে এ বীজ থেকে তৈল উৎপাদনের সুযোগ থাকলে আরও লাভবান হবেন বলে একাধিক সূর্যমুখী চাষিরা জানান।

বালিয়াতলী ইউনিয়নের বোদ্ধপাড়া গ্রামের কৃষক জুলহাস ব্যাপারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে তার ক্ষেতের ফলন খুব ভালো হয়েছে। শুরুতে ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলেও কৃষি অফিসের পরামর্শে তা সেরে উঠেছে। এবছর তিনি ১০ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। ফসল উঠলে পাঁচ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে এ চাষি জানান।

এদিকে টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রজপাড়ার কৃষক মোস্তাক হাওলাদার, আব্দুর রহিম, মিজানুর রহমানসহ একাধিক কৃষক বলেন, সরকারিভাবে দেওয়া বীজগুলো কিছুটা নিম্নমানের হওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে বীজ ক্রয় করে চাষ করায় এখন তাদের ক্ষেতে ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জে এইচ খান লেলীন বলেন, সূর্যমুখী ফুলের তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, কৃষকদের আমরা বিনামূল্যে বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় কীটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে। গত বছর ৪৯২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হলেও এবছর তা বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি প্রণোদনার আওতায় ১৮’শ কৃষককে ১ কেজি করে সূর্যমুখীর বীজ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সার দিয়েছি। আগামীতে এক হাজার হেক্টর জমি এ চাষাবাদের আওতায় আনা হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :