তাড়াশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই: বিক্রি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইসমাইল হোসেন (১৪) নামের এক চালককে শ্বাসরোধে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করার সময় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এদিন দিবাগত রাত ১টার দিকে তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের দিঘী নামক এলাকায় সড়কের পাশে ধান ক্ষেত থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অটোরিকশা চালক নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে। হত্যাকারী একই এলাকার শ্রীপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের মো: আব্দুল্লাহ (২২)।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, শনিবার সকালে ঘাতক আব্দুল্লাহ তাড়াশে আসার জন্য ভাড়ায় অটোরিকশা চালককে সঙ্গে নিয়ে রওনা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে তাড়াশ-কুন্দইল আঞ্চলিক সড়কের দিঘী নামক এলাকায় সুযোগ বুঝে অটোরিকশা চালক ইসমাইল হোসেনকে গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে সড়কে পাশে জংগলের মধ্যে ধানী জমিতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ছিনতাইকৃত অটোরিকশা তাড়াশ উপজেলার কাস্তা এলাকায় বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে গণধোলাই দিয়ে মাধাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান হাবিবের কাছে নিয়ে যায়। এসময় সন্ধ্যার দিকে আটক অটোরিকশা ছিনতাইকারীর স্বজনদের ও নিহত চালকের স্বজনদের খবর দিয়ে সালিশি বৈঠক বসে। এ সময় ছিনতাইকারীকে চালক ইসমাইল কোথায় জিজ্ঞাসা করা হলে তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে অটোরিকশা ছিনতাইকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রাত ১২টার দিকে সে হত্যা করে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে দিঘী নামক এলাকায় পৌঁছে অটোরিকশা চালক ইসমাইল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে নিহতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রবিবার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এআর)

মন্তব্য করুন