চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৩৭

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। উপ-নির্বাচন সফল করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ভোট গ্রহণের সব সরঞ্জাম কেন্দ্রে পাঠানো শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা সব কেন্দ্রকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ চালিয়ে যাব। সবগুলো কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে স্ট্রইাকিং ফোর্সের পাশাপাশি ডিবির মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি দায়িত্বে থাকবেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ৩ প্লাটুন বিজিবি ও ৩ প্লাটুন র‌্যাব মোতায়েন থাকবে। ভোট কক্ষে অযাচিত কোনো ব্যক্তি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য যা যা করা দরকার আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোটারদের উৎসাহিত করতে ইভিএম শিক্ষণ কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন।

এই উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন ছয়জন প্রার্থী। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নোমান আল মাহমুদ, বিএনপির প্রার্থী আম প্রতীকে কামাল পাশা ,ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রমজান আলী।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই নির্বাচনে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

চট্রগ্রামে-৮ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৯০টি।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এই আসনটি ২০১৯ সালেও একবার শূন্য হয়। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। মোছলেম উদ্দিন আহমদের উত্তসূরী হতে এই উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ছয়জন প্রার্থী।

(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/জেএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :