বাংলাদেশ কী পরিমাণ বিদেশি ঋণ নিয়েছে সব জানতে চায় আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৪৩

বাংলাদেশ কী পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ নিয়েছে তার ডাটাবেজের তথ্য চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এছাড়া ডাটাবেজে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেটিও জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সফরে আসা আইএমএফ প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে এক বৈঠকে এসব তথ্য জানতে চেয়েছেন আইএমএফের সদস্যরা।

ইআরডি সচিব শরিফা খান সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ আমাদের কাছে ঋণ সংক্রান্ত ডাটাবেজ নিয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা তা নিয়েই আলোচনা করেছি।

আইএমএফ গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণসুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩৩০ কোটি ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় আরও ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের তিনদিন পরই প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ দেবে আইএমএফ।

এবার আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে রিপেমেন্ট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে শরিফা খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের রিপেমেন্ট এখন পর্যন্ত ক্লিয়ার। এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।’ তিনি জানান, বাংলাদেশের কাছে আইএমএফ জানতে চেয়েছে ডাটাবেজের কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তাদের জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ আংকটাডের পদ্ধতি অনুসরণ করে।

ইআরডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই প্রতিনিধি দল রাশিয়ার সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কি না তাও জানতে চেয়েছে। জবাবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন সেটি খোলা হয়েছে। আর সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট নিয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ।

ইআরডি সূত্র জানায়, প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তবে আগামী অক্টোবরে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আসবেন। তখন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

আইএমএফের ঋণ নিতে ছোট-বড় ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। শর্তগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আর্থিক খাতের মধ্যে আবার বড় অংশজুড়ে রয়েছে ব্যাংক খাত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে। এর মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত অর্জন এবং আগামী জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি যাচাই করছে এবারের মিশন।

এছাড়া ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যেসব শর্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে সরকার সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আসছে বাজেটে কী কী উদ্যোগ থাকছে, তাও পর্যালোচনা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এক হাজার টাকা কৃষিঋণে কেউ জেলে, ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি সরকারের পাশে: ফরাসউদ্দিন

টানা অষ্টমবার কমলো স্বর্ণের দাম

বিএইচবিএফসিতে নতুন ডিএমডি এবং জিএমের যোগদান

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের BAMLCO সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

  ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল 

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অফিসারদের নিয়ে ‘রিফ্রেশার্স ট্রেইনিং কোর্স’ অনুষ্ঠিত

শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ‘ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব’ এর পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ 

এপ্রিলে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ডলার

ব্যাংক এশিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

এনআরবিসি ব্যাংকের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :