পূবাইলে রোগীকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন মিরের বাজারে অবস্থিত মডার্ন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোগ নির্ণয়ের নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলছে- এমন অভিযোগ অনেকের। এতে একদিকে রোগীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অন্যদিকে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ছেন। মাঝে মধ্যে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হলেও স্বাস্থ্য সেবার নামে অবৈধভাবে জনাকীর্ণ স্থানে মনোরম সাইনবোর্ড লাগিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিলে পূবাইলের ৪১নং ওয়ার্ডে বড়াদল এলাকা থেকে নিলিমা ১৪ নামে এক রোগী তার বাবার সঙ্গে পেটের সমস্যা নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আল্ট্রসনোগ্রাম করা হয়। রিপোর্টে ডাক্তার তাসনিম সুলতানা রোগীর বাবাকে জানান রোগীর লিভারে কোনো একটি অংশে পানি জমাট বেঁধেছে। রিপোর্ট পেয়ে রোগীর পরিবার দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরের দিন অন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উত্তরা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করানো হলে রোগীর রিপোর্টে ডাক্তার মতিউর রহমান খান রোগীর বাবাকে জানান তার লিভারে কোনো সমস্যা নেই। আগের রিপোর্টটি ভুল। রোগীর বাবা এনামুল হোসেন মুঠোফোনে জানান, ডাক্তার ভুল স্বীকার করেছে তাই এটা ভুলে যেতে চাই। আমাদের নিজেদের এলাকার প্রতিষ্ঠান ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন মালিক পক্ষ। মডার্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার তাসলিম সুলতানার মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার রিপোর্ট সঠিক। চেম্বারে আইসেন।’ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক স্বজলের কাছে ভুল রিপোর্ট এর ব্যাপারে জানতে চাইলে জানান ভুল হতে পারে।
গাজীপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. খায়রুজ্জামানের কাছে রিপোর্ট দুটি পাঠিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান অনুমোদন ছাড়া কীভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাচ্ছে সেটা দেখব। রোগীকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/২মে/এআর)