বগুড়ায় ৩ কিশোরের লালসার শিকার ৮ বছরের শিশু

দলবদ্ধ ধর্ষণের পর মাথায় ইটের আঘাত করে হত্যা করা হয় বগুড়ার ধুনটের ৮ বছরের শিশু মায়দা আক্তার রজনীকে। হত্যার পর লাশ লুকিয়ে রাখতে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এক কিশোরকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও সার্বিক) স্নিগ্ধ আখতার।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ধুনটের এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গল থেকে শিশু মায়দা আক্তার রজনীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রজনী ওই এলাকার গাজিউর রহমান তালুকদারের মেয়ে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে আম কুড়াতে গেলে রজনীকে দেখতে পায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। এরপর গ্রেপ্তার কিশোর রজনীর কাছে গিয়ে তার মুখ চেপে ওই স্কুলের দক্ষিণ পাশের গলিতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রজনীর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ও গলা টিপে হত্যা করে। লাশটি লুকিয়ে রাখতে তারা বিদ্যালয়ের পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত কিশোর ও তার দুই সহযোগী জৈবিক চাহিদা পুরণের জন্য দীর্ঘদিন থেকে শিশুটিকে টার্গেট করে আসছিল। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত কিশোর তার দুই সহযোগী জড়িত থাকার তথ্য পুলিশকে দিয়েছে। এঘটনায় শিশুটির বাবা গাজিউর রহমান তালুকদার বাদী হয়ে ধুনট থানায় হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/৬মে/এআর)