ইন্টারনেট বিল নিতে গিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৩, ০৯:৪৯

চাঁদপুরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার বিল নিতে গিয়ে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের মুক্তিযোদ্বা সড়কস্থ শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের পাশে সোনা মিয়ার ছেলে মাইনুদ্দিনের বাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়ার বশির উল্লাহ্র ছেলে চার সহোদর, তানভির হোসেন (৩২), ফয়সাল হোসেন (২৪), সাব্বির হোসেন (৪২), মহাবির হোসেন (৩৮), তাদের বোন আয়শা বেগম (২৭) এবং নাজির পাড়া এলাকার বাচ্চু ছৈয়ালের ছেলে ইন্টারনেট সেবাদাতা ব্যবসায়ী রোকনউদ্দিন রোকন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ইন্টারনেট নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লিপ্ত হয় দুপক্ষের লোকজন। দেশীয় অস্ত্রের দায়ের কোপ ও রডের আঘাতে ৬ জন আহত হন। ঘটনার পরপর তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এসময় আহতদের তাৎক্ষনিক চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এছাড়া তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বলেও জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, সংঘর্ষের এ ঘটনার পর উভয়পক্ষ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গনি পাটওয়ারীর কাছে যান। তিনি আগামী শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে সালিস মীমাংসা করবেন বলে জানিয়েছেন।

ঘটনাস্থলে গৃহকত্রী আয়শা আক্তার কচি অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইন্টারনেট বিলের জন্য নাজির পাড়ার রোকন এসে দরজা খুলতে বললে, আমি দরজা খুলে দিতেই রোকন বাসায় ঢুকে আমাক কোনও প্রকার আওয়াজ না দিয়ে স্বর্ণ ও টাকা পয়সা যা আছে দিয়ে দিতে বলে। সে আমার বাসার ভেতরে ঢুকে আলমারি খুলে তছনছ করতে থাকে। আমি তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসা থেকে বাইরে এসে তাকে আটকে আমার ভাইদের বিষয়টি জানাই।

আমার চার ভাই আসতে আসতে রোকনের সঙ্গে ৫-৬ আমার বাসায় এলে আমার ভাইদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের মারামারি লেগে যায়। তাদের সঙ্গে ছুরি, ডেগার, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা আমার ভাইদের কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।

রোকনউদ্দিন রোকন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমি ইন্টারনেট বিলের টাকা চাইতে গেলে আমাকে টাকা না দিয়ে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বাসার বাইরে দিয়ে দরজা আটকিয়ে আমাকে আটক করে। পরে তার ভাই ও লোকদের খবর দিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করেছে।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, বিষয়টি আমি উভয়ের কাছ থেকে শুনেছি। উভয় পক্ষই আমার লোক, তাই আগামী শুক্রবার বসে সালিস মীমাংসা করে দিব।

আরও পড়ুন: ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। দুপক্ষই স্থানীয়ভাবে সালিসে বসবে বলে আপাতত আমাদের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সালিস দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :