তীব্র গরমে অজ্ঞান হয়ে সুনামগঞ্জে নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
| আপডেট : ১১ মে ২০২৩, ১৫:৩৪ | প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৩, ১৫:২৪

সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলায় পৃথক স্থানে তীব্র গরমে অজ্ঞান হয়ে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ছাতক উপজেলায় দুজন, দোয়ারাবাজার উপজেলায় একজন ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় একজন। প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা চিকিৎসকদের।

বুধবার জেলার তিনটি উপজেলায় পৃথক স্থানে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- জেলার ছাতকের জাউয়া বাজার ইউনিয়নের সাদারাই গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে মঞ্জুর আহমদ (৪০), একেই উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে হাসনাত মিয়া (৪৫), দোয়ারা বাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের জলসি গ্রামের তাজির উদ্দিন (৬৫) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের দরগাপাশা গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৬০)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঞ্জুর আহমদ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গরমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পাশে থাকা সহযোগীরা তাকে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একইভাবে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামের হাসনাত মিয়া ক্ষেতে কাজ করে বাড়িতে এসে শরীর খারাপ লাগছে বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় পরিবারের লোকজন তাকে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের জলসি গ্রামের তাজির উদ্দিন হাওরে ক্ষেতের কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের দরগাপাশা গ্রামের রাফিয়া বেগম খলায় ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আইনুন নাহার শান্তা জানান, ছাতকের সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ, অষ্টম ও একাদশ শ্রেণির তিনজন ছাত্রী প্রচণ্ড গরমে ক্লাসে অজ্ঞান হয়ে পড়ায় তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়াও দুজনকে নিয়ে এসেছিল তারা মারা গেছেন।

সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন শুকদেব সাহা জানান, সুনামগঞ্জে হিটস্ট্রোকে চারজনের মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই। তবে চারজনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকেই হয়েছে কি না সেটা বলা যাবে না। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :