ঢাকা-১৭: যে কারণে কাদের খানকে বেছে নিতে পারে আওয়ামী লীগ

জাফর আহমেদ, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১২:০৪ | প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০২৩, ০৮:২৪

ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট কে পাচ্ছেন তা নিয়ে নানান জল্পনা চলছে। এই আসনে ভোটে লড়ার দৌড়ে আওয়ামী লীগ নেতা ছাড়াও আছেন এক ডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী।

তবে আগেরবার মনোনয়ন পাওয়ার পরেও ছিটকে পড়া কাদের খানকে এবার.বেছে নিতে পারে আওয়ামী লীগ। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

গত ১৫ মে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন>>ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন ফরম নিলেন আব্দুল কাদের খান

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল ১৫ জুন, বাছাই ১৮ জুন ও প্রত্যাহার ২৫ জুন। আর ১৭ জুলাই ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ঢাকার অভিজাত এলাকা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনটির উপনির্বাচন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন—তা নিয়েই জল্পনা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচনে নৌকার টিকিটে যিনি জিতে আসবেন, আগামী নির্বাচনেও দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। ফলে তফসিল ঘোষণার পরই এক ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সূত্র বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে কাদের খানকে মনোনয়ন দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তাই এবার তাকেই মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভবনা বেশি।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, কাদের খান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হলেও তিনি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। দলের দুঃসময়ে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি সংগঠনকে সুসংগঠিত করে নেতাদের নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। এবার এই উপনির্বাচনে দলীয় স্বার্থের বিবেচনায় কাদের খানই তুলনামূলক বেশি যোগ্য।

পঁচাত্তরের পর থেকে কাদের খান বনানী এলাকায় আছেন। প্রথম সামরিক সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বনানীতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং স্বজনদের সমাধি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করেছেন। এজন্য তাকে অনেক জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। এরপরও তিনি রাজনীতি ছাড়েননি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গেলেও শেখ হাসিনার কাছে কিছুই চাননি। তাই এবার তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, কাদের খান মনোনয়ন ফরম তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তার সম্মতি নিয়েছেন। এছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের সঙ্গেও দেখা করে মনোনয়ন বিষয়ে কথা বলেছেন।

এদিকে কাদের খান সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তিনি এ ফরম সংগ্রহ করেন।

এদিন কাদের খান ছাড়াও আরও দুজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ নিয়ে এই উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ১২ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর আগে গত শনিবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।

তারা হলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি সদস্য মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আলী আরাফাত, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম জসিম উদ্দিন, গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম, ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মো. আবু সাঈদ, যুবলীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, সাবেক সচিব ও মুজিবনগর বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা মু. নজরুল ইসলাম তামিজি ও টিভি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান।

মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল কাদের খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গতবার আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলাম। এবার আমি মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’

(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/জেএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :