ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের তদন্ত প্রতিবেদন ফাঁস, নিরাপত্তাহীনতায় ১২ সাক্ষী

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, ২১:৫১ | প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২৩, ২১:৩৫

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত বহু আগে শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত কমিটি। তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানান। এ শর্তে তারা সাক্ষ্য দেন তদন্ত কমিটির কাছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলগালা তদন্ত প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছেছে সেই কপি। তদন্ত প্রতিবেদনে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা কর্তৃক ভুক্তভোগীকে নির্যাতনের নির্দেশদাতা বলে উল্লেখ করা হয়।

৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে সাক্ষ্যদানকারী ১২ ছাত্রীর নাম রয়েছে। এতে সাক্ষ্য প্রদানকারী ছাত্রীরা চরম নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান একাধিক সাক্ষ্য দানকারী ছাত্রী। উচ্চ আদালত থেকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশনা থাকলেও কিভাবে কপি প্রকাশ্যে এলো তা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে অসতর্কতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাক্ষ্যদানকারী ছাত্রী বলেন, 'আমরা তদন্ত কমিটির কাছে জাস্ট সত্যটা তুলে ধরেছি। বলা হয়েছিল আমাদের নাম কোনোভাবে প্রকাশ করা হবে না। কিন্তু এভাবে সাক্ষীদের নাম প্রকাশ করলে ভবিষ্যতে চোখের সামনে কোনো অন্যায় ঘটলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দিতে সাহস করবে না। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।'

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে আনেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা নিজেই। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনের একটি পৃষ্ঠা নিজস্ব ফেসবুকে আইডিতে শেয়ার করলে বিষয়টি সবার সামনে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনের কপি সরবরাহ না করলেও অভিযুক্তরা হাইকোর্ট থেকে সংগ্রহ করেছে বলে জানা যায়।

অভিযুক্ত সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, 'আমি আদালত থেকে একটি মাধ্যমে প্রতিবেদনের কপি সংগ্রহ করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পৃষ্ঠা দিয়েছি, সেখানে কারো নাম ছিল না। তবে তথ্য পেলেও আমি কাউকে ক্ষতি করিনি। আর করবোও না।'

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খান বলেন, 'আমাদের এখান থেকে তদন্ত প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। তবে বিষয়টি নিয়মের মধ্যে থেকে হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত প্রতিবেদন ছড়িয়ে পরাটাও দুঃখজনক।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, 'তদন্ত কমিটি আমার কাছে দুই কপি সিলগালা প্রতিবেদন জমা দেন। এক কপি হাইকোর্টে পাঠিয়েছি। আরেক কপি আমার অফিসে সিলগালা অবস্থায় এখনও আছে। সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয় দুই জেলার পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডি দেখবে।'

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

বরিশালে মাদকসহ চার নারী-পুরুষ গ্রেপ্তার 

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লড়াইয়ে ছাত্রলীগ সর্বতোভাবে পাশে থাকবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা: আহত ২৫

উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

চাঁদপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, বেনাপোলে আটক

মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মরদেহ

মেহেরপুরে অপরিপক্ব লিচুতে বাজার সয়লাব

সরাইলে আগুনে পুড়ল ১২ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

উপজেলা নির্বাচন: আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রাণীনগরের ৫ জন

ফরিদপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিধ্বস্ত তিন উপজেলা, বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :