ঝিনাই নদের ভাঙনে বসতঘর বিলীন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঝিনাই নদের ভাঙনে বসতঘর বিলীন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫-৬টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়াও কুর্নি-ফতেপুর সড়ক ভেঙে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ফতেপুর এলাকার ঝিনাই নদীর তীরবর্তী ফতেপুর, পালপাড়া, এক টাকার বাজার, বানকাটা, থলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি পালপাড়া এলাকায়। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ৫-৬টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ায় ওইসব ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ।

জানা গেছে, ঝিনাই নদের ভাঙনে কুর্নি-ফতেপুর পাকা সড়কের এক টাকার বাজার নামক স্থানে বেশ কিছু অংশ ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে। ফলে উপজেলা সদরের সঙ্গে ভাঙন কবলিত এলাকার উত্তরাংশের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই অংশের লোকজন বিকল্প হিলড়া-আদাবড়ি সড়ক দিয়ে সদরের চলাচল করছেন।

ফতেপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী ইব্রাহীম সিকদার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ওই এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে ইতোপূর্বে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ফতেপুর ইউপ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ঢাকা টাইমসকে বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে আমি আমাদের এমপি খান আহমেদ শুভ, ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি। তারা ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: যমুনা গিলছে বসতভিটা, দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেন মুঠোফোনে ঢাকা টাইমসকে জানান, তিনি ভাঙনের বিষয়টি জেনেছেন। ভাঙন কবলিত এলাকা চিহ্নিত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এসএম)