১১০০ কেজির ‘রাজা বাবু’র দাম হাঁকাচ্ছেন ১৮ লাখ

চাঁদপুরে ১১০০ কেজির বিশাল দেহের ষাঁড় ‘রাজা বাবু’। কোরবানির বাজারে এর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৮ লাখ টাকা। আগামী রবিবার গরুটিকে শহরতলীর ঐতিহ্যবাহী বাবুর হাট বাজারে উঠানো হবে বলে জানা গেছে।
গরুটির মালিক পারভিন জানান, রাজাকে গত মঙ্গলবার চাঁদপুরের একটি হাটে উঠানো হলে এর দাম উঠে ১৫ লাখ টাকা। তবু বিক্রি করা হয়নি। তবে এটিকে বাড়ি আনা হলে বাড়িতে বিভিন্ন স্থানের মানুষ এসে এর দাম উঠায় ১৭ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, আমার ধারণা ছিল রাজা বাবুকে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে হবে। কিন্তু এখন যেহেতু ১৭ লাখ উঠেছে তাই দেখা যাক আরও বেশি দামে বিক্রি করা যায় কি না।
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের গ্রিন বাংলা ডেইরি ফার্মে তিন বছর বয়সী ক্রস জাতের এই বিদেশি জাতের ষাঁড়ের ওজন এক হাজার ১০০ কেজি। আদর করে বিশাল দেহের এ ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা বাবু’। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ষাঁড়টি। খামারের মালিক এর দাম হাঁকছেন ১৮ লাখ টাকা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন ইসলাম। তিনি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শখ করে নিজস্ব জায়গায় গড়ে তুলেছেন গ্রিন বাংলা ডেইরি ফার্ম। প্রথমে লালন পালন করেছেন ২০টি বিদেশি জাতের মুরগি। এরপর নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৭ সালে দুটি গাভী লালন পালন শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পশুর সংখ্যা। এখন তার খামারে গাভী, ষাঁড়, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।
পারভীন ইসলাম বলেন, মূলত আমার খামারটি একটি আদর্শ খামার। আমি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাস আর খড়, খইল ও ভুসি খাওয়ানো হয়। বর্তমানে ৬৬টি গরু আছে এ খামারে।
তিনি বলেন, ক্রস জাতের ফ্রিজিয়ান জাতের ‘রাজা বাবুর জন্ম আমার খামারেই। এটির বয়স তিন বছরের কিছু বেশি হবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন এসে এটি মেপে আমাকে জানিয়েছেন ওজন এক হাজার ১০০ কেজি। গরুটির দাম চেয়েছি ১৮ লাখ টাকা। তবে কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মুকবুল হোসেন জানান, আমাদের কার্যালয়ের লোকজন গত কয়েকদিন আগে এটি মেপেছেন। এটির ওজন হয়েছে, এক হাজার ১০০ কেজি, অর্থাৎ সাড়ে ২৭ মণ ওজন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ২১ মণের ‘রোনালদো’ দেখতে মানুষের ভিড়
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বখতিয়ার উদ্দিন জানান, পারভীন ইসলামের খামারটি একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক খামার গড়ে উঠেছে। এ বছর কোরবানির জন্য জেলায় চাহিদা রয়েছে ৭০ হাজার গবাদি পশুর। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার গবাদি পশু।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এসএম)

মন্তব্য করুন