এ কেমন ভুল, শ্রমিকদের নগদ একাউন্টে গেল ১৬ কোটি টাকা

আজহারুল হক, ময়মনসিংহ
| আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, ১৩:৩৮ | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২৩, ১২:০১

১৫শ ৩ জন শ্রমিকের মোবাইলের নগদ একাউন্টে এসেছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। ঘটনাটি আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি। এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায়। উপজেলায় কোটি টাকার এমন কাণ্ডে জনমনে চাঞ্চল্যে ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলা অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (২য় পর্যায়ে) ৪০ দিনের প্রকল্পে ১২ ইউনিয়নের ১৫০০ জন শ্রমিকের কাজের মজুরি হিসেবে প্রায় দুই কোটি টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও তাদের মোবাইলের নগদ একাউন্টে এসেছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। যা মজুরি থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকা বেশি এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শ্রমিকদের নগদ একাউন্ট স্থগিত করে দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। এছাড়া শ্রমিকদের মজুরির টাকা মোবাইল একাউন্টে বেশি আসার বিষয়টি প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে কতজন শ্রমিক টাকা উত্তোলন করেছেন সে হিসাব এখনো দিতে পারেনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (২য় পর্যায়ে) ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে (বাক্তা) ১টি ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজ করা হয়নি।

উপজেলায় ১৬শ ৩০ জন শ্রমিকের একাউন্ট আছে তার মধ্যে ১২ ইউনিয়নে ১৫শ ৩ জন শ্রমিকের বেতন মজুরি বাবদ ৪০ দিনের প্রকল্পে ১৬ দিন থেকে ৩৬ দিন করে প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতিদিন কাজের মজুরি হিসাবে ৪০০ টাকা বরাদ্দ ছিল।

গত ৮ জুন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি শ্রমিকের ১৫শ ৩ জনের বিপরীতে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা নির্ধারিত নম্বরে পরিশোধের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক বরাবর বিল প্রেরণ করা হয়।

রবিবার রাতে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করা হয় নগদ একাউন্টে। ভুল করে নগদ একাউন্টে অতিরিক্ত প্রতি শ্রমিকের ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা বেশি আসে। উপজেলায় অতিরিক্ত প্রায় ১৪ কোটি টাকা শ্রমিকদের মোবাইলের নগদ একাউন্টে এলে অনেক শ্রমিক রবিবার রাতেই ওই টাকা উত্তোলন করে ফেলেন। এমন পরিস্থিতিতে উপকারভোগী কোনো শ্রমিকেরই মোবাইল ফোন খোলা পাওয়া যায়নি।

রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুক্তা ঢাকা টাইমসকে জানান, অনেক শ্রমিক টাকা উত্তোলন করেছেন। তবে কতজন শ্রমিক টাকা উত্তোলন করেছেন তা নির্ধারিত করে বলা যাচ্ছে না। মোবাইলে শ্রমিকদের মজুরির অতিরিক্ত টাকা আসার বিষয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে চিঠি পেয়ে সব মেম্বারদের বিষয়টি জানিয়েছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন ঢাকা টাইমসকে জানান, শ্রম মজুরি নির্ধারিত একাউন্টে পরিশোধের জন্য বিল প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রেরণ বিলের তুলনায় ইস্যুকৃত নম্বরে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভোগান্তি, যানবাহন চলাচলে ধীরগতি

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুল করিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের নগদ একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যারা টাকা উত্তোলন করেছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :