হলি আর্টিজান হামলার ৭ বছর: নিহতদের প্রতি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৩, ১৩:৫৫ | প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২৩, ১৩:২৫

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলার সাত বছর আজ শনিবার (১ জুলাই)। ২০১৬ সালের এই দিনে বেকারিটিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মারা যান দেশি-বিদেশি ২২ জন। হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণ হারান দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের উদ্দেশে সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

শনিবার সকালে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর প্লটের ওই ভবনের সামনে অস্থায়ী বেদিতে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতোনাওকি। এ ছাড়া ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তারাও নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নিহতদের প্রতি। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ১০টার দিকে হোলি আর্টিসানের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লটের হলি আর্টিসান ও কিচেন রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি নাগরিক, ১ জন ভারতের নাগরিক, ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকও দুই জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৩ জন নিহত হন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডার বোল্ড অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়।

হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনার জেরে পরবর্তীতে সারাদেশে পুলিশ ও র্যাব ২৭টি জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায়। এতে ৭৩ জন নিহত হয়।

মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ:

হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে ঢাকার সিটিটিসি। এই হামলায় মোট ২১ জনের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত সংস্থাটি। এর মধ্যে পাঁচ জঙ্গি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া পুলিশ ও র‌্যাবের বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয় আরও আটজন। জীবিত বাকি আটজনকে আসামি করে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড:

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। বিচারিক কার্য্ক্রম শুরুর এক বছরের মধ্যেই আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে মামলার আট আসামির সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ এবং মামুনুর রশিদ রিপন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করে।

ঢাকাটাইমস/০১জুলাই/কেআর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :