সুনামগঞ্জে দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় জনমনে স্বস্তি
সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, বোলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৬৫ মিটার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার নদ-নদীর পানি কমলেও তাহিরপুর, বিশম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারা বাজার, মধ্যনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি আছে। পানি কমলেও তলিয়ে যাওয়া কিছু কিছু গ্রামীণ সড়ক থেকে পানি এখনও নামেনি। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই নৌকা দিয়ে জেলা ও উপজেলায় জরুরি কাজে, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হাট বাজারে যাচ্ছেন।
জেলা শহরের বাসিন্দা আহমেদ জামিল জানান, গত সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পরায় পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে পড়ে দুশ্চিন্তায়। গত দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এরই মধ্যে শহরের নিচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
টাংগুয়ার হাওর পাড়ের কৃষক সাকিব রহমান জানান, আমরা হাওর পাড়ের মানুষ, বন্যা বছরের এই ৬ মাস নিত্যসঙ্গী। প্রতিবছরে বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ডুবে যায়। যার ফলে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। বর্ষায় নৌকায় আমাদের ভরসা। তবে বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে পরিকল্পিতভাবে নদীগুলো খনন করা প্রয়োজন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়া হাওর ও নিম্নাঞ্চলের মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হয়। গত দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এখন পানি কমায় সবাই স্বস্তিতে আছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি আর নেই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে গত মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জেলার নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় রাস্তাঘাট ভেসে উঠছে, আরো পানি কমবে।
(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/এসএ)