পিরোজপুরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ-আত্মহত্যার প্ররোচনা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় গৃহবধূকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ-আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি মো. আসলাম চৌধুরী বাবুকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার বাবু গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার বানারঝর এলাকার লাল মিয়া চৌধুরীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরীর রুপাতলী র‍্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল র‍্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান।

তিনি বলেন, গত বছরের ১৩ মে বিকাল ৪টায় ভিকটিম কেনাকাটার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আসামি বাবুর সহযোগী জিসান ভিকটিম গৃহবধূকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তালপুকুরিয়া রোডের কালাম মোল্লার ঘেরের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে নামধারী তিনজন এবং অজ্ঞাতনামা দুজন আসামিসহ পাঁচজন গৃহবধূকে পালাক্রমে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে লিংক রোড এলাকায় ফেলে রেখে যায়।

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, পরে ভিকটিমকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন ১৪ মে ভোর ৫টায় ক্ষোভে, লজ্জায় ভিকটিম নিজ বাড়ির আম গাছের ডালের সাথে শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সুনিল মন্ডল পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানায় জোরপূর্বক অপহরণ করিয়া দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় সহায়তার অপরাধে একটি মামলা করেন। উক্ত ঘটনার পরে প্রধান আসামি বাবুসহ সকলে আত্মগোপনে চলে যায়।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বরিশাল র‍্যাব-৮ ও মাদারীপুর ক্যাম্প এর একটি দল বুধবার রাত ১০টায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তা করা হয়।

অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিরা পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময়ে আটক হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এসএ)