কুড়িগ্রামে একটি স্কুলে একজনই পরীক্ষার্থী, সেও ফেল

কুড়িগ্রাম সদরের পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন মাত্র পরীক্ষার্থী এ বছর এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। শুক্রবার ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থীও অকৃতকার্য হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি দিনাজপুর বোর্ডের শতভাগ ফেল করা একমাত্র প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর স.ম.আব্দুস সামাদ আজাদ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হক জানান, তার স্কুল থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য দুজন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন একজন। সেও পাস করতে পারেনি।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ‘২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর সেবছরই স্কুল থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেই থেকে প্রতি বছর কয়েকজন করে পরীক্ষার্থী এই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছে। প্রতি বছর পাসও করে। কিন্তু কোনও বার শতভাগ ফেল ছিল না। এবছরই প্রথম শতভাগ ফেল। দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে।’
প্রধান শিক্ষকের দেওয়া তথ্যমতে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালে পাঠদানের অনুমতি পায়। পরে ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে দশম শ্রেণিতে ১০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। আর ৯ জন শিক্ষকসহ মোট জনবল ১৪ জন। তবে প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর স.ম.আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, ‘আগামীতে যাতে কোনও প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ফলাফল না হয় সেজন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো। প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ভবিষ্যতে ভালো করে এজন্য আমরা চেষ্টা করবো।’
এদিকে জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাস করা শিক্ষার্থীর দিক দিয়ে জেলায় প্রথম হয়েছে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ২৩৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬২ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে অংশ নেওয়া ২৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে চার জন ফেল করেছে। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১৩৬ জন।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন