বঙ্গবন্ধু: বিশ্বচোখে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির দার্শনিক গুরু

এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার
  প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০৫
অ- অ+

সমরশক্তি ও অর্থনৈতিক শক্তির প্রদর্শনী করে তথাকথিত অস্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শন কে জোরপূর্বক গ্রহণ করতে বাধ্য করার অপরাজনৈতিক পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক মেরুকরণের চাপ সৃষ্টি করে কেতাবি স্নায়ুযুদ্ধের মতলববাজির মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে দুই কাতারে ভাগ করবার অপরাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যুক্তিসংগতভাবে মানবতার মুক্তি মিলতে পারে, তার কোন সুযোগ ছিল বলে আমার মনে হয় না। যেখানে স্বাধীনতা খর্ব করে, নিজেদেরকে অবমূল্যায়িত করে, নিজেদের কৃষ্টি-কালচারের ক্ষতি করে, পছন্দের পরিবর্তে অপছন্দকে কৌশলে বেছে নেবার ক্ষেত্রে, নিঃসন্দেহে কোন জাতির নিজস্ব আত্মসম্মানগত অস্তিত্বের উন্নতির কোন সম্ভাবনা থাকতে পারে বলেও আমার জানা নেই। ফলে পৃথিবীর মানুষ দুই মেরুকরণের আশ্রয়ে আশ্রিত হয়ে পৃথিবীর যে সর্বনাশের ক্ষেত্র রচনা করেছিল, তা ছিল বিশ্ববাসীর জন্য একটি ভুল সিদ্ধান্ত। যার চূড়ান্ত পরিণতি, আজও বিশ্বনেতৃত্ব মানুষকে তার মানবতার ছায়াতলে সমান মর্যাদা দিয়ে টানতে সক্ষম হয়নি। হোক সে পুঁজিবাদ কিংবা হোকনা সে সমাজতন্ত্র। স্বতঃস্ফূর্ততার অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে মানবতাকে বিপর্যস্ত করেছে এটাই সত্য। বিপরীতে মানবতাকে সুসংহত করতে না পারার ব্যর্থতার চিত্রটি আরো বেশি পরিষ্কার হয়েছে। একুশ শতকের আধুনিক বিশ্ব মননে সবাইকে নিয়ে পুরো পৃথিবী সুস্থ থাকবার প্রয়াসে ইতিবাচক মানবতার কোন উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি চলমান ক্ষমতাধর বিশ্বনেতৃবর্গ বরং করোনাকালীন বিশ্ব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা আমাদেরকে শুধু হতাশই করেনি, রীতিমতো বিস্মিত করেছে!

মানবতার প্রকৃত সুখের সন্ধান মেলে সেখানে, যেখানে মানুষ জন্ম নিয়ে তার মায়ের ভাষায় কথা বলতে শেখে, পরিবার সমাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত জ্ঞান গরিমা ও মূল্যবোধের নির্যাস থেকে নির্মিত একটি নিজস্ব সংস্কৃতিতে, তার সমস্ত বিচরণকে অনুভব করতে পারে। আর ভাষা ও সংস্কৃতি ভিত্তিক স্বাধীনতাই প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার চূড়ান্তরুপ। জন্মগত ভাবেই আরোপিত যেকোনো বিষয়, যা মানুষের নিজস্ব স্বাধীনতার সাথে বৈরি মনে হয়,তা তার জন্য প্রকৃতপক্ষে শাস্তি ও পরাধীনতার অনুভূতি জন্মায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অন্তর্দৃষ্টির গভীরতায় এ অনুভূতির অনুধাবন কে তাঁর নিজস্ব অস্থিমজ্জায় কর্ষিত করে, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ব শান্তির পথকে আবিষ্কার করে, মানবতাশ্রয়ি জাতীয়তাবাদকে উপহার দিয়েছিলেন বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের জন্মের মধ্য দিয়ে, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতি। মানবতাই বাঙালি জাতীয়তাবাদের অবিকল্প সমার্থক।

বিশ্ব নেতৃবর্গের অন্তর্দৃষ্টির মূল্যায়ন বিশ্লেষন করলে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মহান নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কতটা অনন্যসাধারন তা নির্বাচিত মতামত থেকে খুব সহজেই বুঝে নেয়া সম্ভব-

শ্রীলংকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষণ কাদির গামা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতক এ বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান, প্রস্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।'

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এই উপমহাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু এক জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি এবং পিতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মঞ্চে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সেই বিরল নেতা, যার প্রতি ধর্মমত নির্বিশেষে সকল মানুষ প্রণাম জানিয়ে ধন্য হয়।'

তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তার মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক 7 ই মার্চের ভাষণের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে 'পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল' গ্রন্থে লিখেছেন- 'রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল আশাব্যঞ্জক বাণী শ্রবণ শেষে মসজিদ অথবা গীর্জা থেকে তারা বেরিয়ে আসছেন।'

বঙ্গবন্ধুর প্রতি অগাধ সম্মান ও একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, 'তিনি তাঁর দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে, অন্য দেশের কারাগারে থেকে, শুধু তার নামের জাদুমন্ত্রে পৃথিবীর ভৌগোলিক রেখা পরিবর্তন করে একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় ঘটান। সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে এর দ্বিতীয় নজির নেই।'

তিনি আরো বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর সেদিন মালয়েশিয়ার মসজিদে তার জন্য দোয়া করা হয় ইসলামের মহান খলিফাদের সঙ্গে যেনো শেখ মুজিবের বেহেশত নসিব করার জন্য দোয়া করেন ইমাম সাহেব। সেদিন শুক্রবার ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের মসজিদে বঙ্গবন্ধু বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করা হয়েছে।'

১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সফরে আসেন তৎকালীন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস মিতেরা। তিনি নেপোলিয়ন দ্য গ্রেট, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এর চেয়েও বঙ্গবন্ধুকে সফল নেতা বলে মন্তব্য করেন। সফরে এসে বঙ্গবন্ধুর ছবির দিকে তাকিয়ে এইচ এম এরশাদকে সরাসরি তিনি বলেন, 'তোমাদের দেশের অদৃশ্য শক্তিধর এই লোকটির কী অজানা যাদু ছিল! দেখো, আমাদের ফ্রান্সের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর নেপোলিয়ন বোনাপার্ট দ্যা গ্রেট। তিনি ফ্রান্স থেকে বহুদূরে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে বন্দী হয়ে পড়েন, তোমাদের শেখ মুজিবের মতো বন্দী হওয়ার পর আমাদের জাতীয় বীর ফরাসি জাতির জন্য বা ফ্রান্সের জন্য আর কোনো অবদান রাখতে পারেননি। কিন্তু তোমাদের ভাগ্য নির্মাতা( বঙ্গবন্ধু) তোমাদের দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে, অন্য দেশের কারাগারে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়ে ডেথ সেলে বসেও, শুধু তার নামের অজ্ঞাত জ্যোতির্ময় আলোকচ্ছটা নিক্ষেপ করে, পৃথিবীর ভৌগলিক রেখা পরিবর্তন করে, একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় ঘটান এবং একটি নতুন জাতির জন্ম দেন।'

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে এক বিস্ময়কর ঘটনা বলে অভিহিত করে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, 'সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে এবং বিশ্বের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে এমন দ্বিতীয় কোনো বিস্ময়কর ঘটনা কেউ কোনোদিন, কোথাও প্রত্যক্ষ করেনি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মতো যোদ্ধা জাতিকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অখ্যাত অজ্ঞাত বীর যোদ্ধারা যখন পরাজিত করেছে বলে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে ভূমিকম্প তৈরি হয়। বিশ্বের নেতারা এবং সামরিক বাহিনীর জেনারেলরা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। যার শিহরণ জাগানো......

সশ্রদ্ধ চিত্তে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রশংসা করে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী বাংলাদেশী সাংবাদিক মুসা সাদিক কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা প্রথম সারির নেতা ছিলেন এবং যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো তাদের সবার চেয়ে শেখ মুজিব অনেক বড় নেতা ছিলেন।'

১৯৯৬ সালের ২৫শে মে, ভারতে বসে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় অটল বিহারি বাজপেয়ী আরো বলেন, 'তোমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়ে দিও যে- আমি বলেছি, তোমাদের শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বের বহু নেতার চেয়ে অনেক বড় নেতা। তিনি পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর চেয়েও অনেক বড় নেতা। এমনকি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা প্রথম সারির নেতা ছিলেন এবং যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তাদের সবার চেয়ে শেখ মুজিব অনেক বড় নেতা ছিলেন।'

উইলি ব্র্যান্ডিট ১৯৭১ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন।১৯৭৭ সালে পশ্চিম জার্মানিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন ' বাংলাদেশের ভূখণ্ড সম্পর্কে আগে তার ধারণা ছিল না। ডেথ সেলে বন্দী অবস্থায় তিনি যে ম্যাজিক পাওয়ার প্রদর্শন করে একটা জাতিকে স্বাধীন করেছেন, সেটা বিশ্বনেতাদের কাছে অলৌকিক ঘটনার মতো ছিল। বিশ্ব নেতারাতাকে একপলক দেখার জন্য অধীর হয়ে উঠেছিল।

বিশ্বব্যাপী বিপ্লবের প্রতীকে পরিণত হওয়া কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন, 'আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারালো একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।'

ব্রিটিশ লর্ড ব্রোকওয়ে বলেন, 'শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্য ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা ছিলেন।'

ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে বলেন, 'আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।'

বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর পেয়ে ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হসেন সেদিন শোক দিবস পালন করেন। এমনকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কে জি মোস্তফা কে সেদিনই ইরাক থেকে বের করে দেন। সংক্ষুব্ধ আচরণ করে সাত দিনের মধ্যে বাকিতে দেওয়া ইরাকি তেলের টাকা পরিশোধের হুকুম দেন। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর।'

বঙ্গবন্ধু হত্যার সংবাদ শুনে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এতটা দুঃখ পেয়েছিলেন যে, তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন 'তোমরা আমারই দেওয়া ট্যাঙ্ক মুজিবকে হত্যা করেছ! আমি নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি।'

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের রণাঙ্গন পরিদর্শনে এসেছিলেন আমেরিকান বিরোধীদলীয় ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা সিনেটর কেনেডি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশে তিনি বলেন, 'তোমাদের দেশে তোমাদের নেতা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চলছিল, যেটা শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে রুপ নেয়। কিন্তু সেটা কমিউনিস্টেদের যুদ্ধ ছিল না। সে কারণে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আমেরিকান জাতি তোমাদের শতভাগ সমর্থন দেয়। আমার জাতির পক্ষে সেই সময়ে তোমাদের রণাঙ্গনে গিয়ে আমি সেটা ব্যক্ত করেছিলাম। সেখান থেকে আমেরিকায় ফিরে এসে সিনেটে তোমাদের পক্ষে একের পর এক প্রস্তাব পাস করিয়েছিলাম। যার ফলে পাকিস্তান ক্রমশ পঙ্গু হয়ে পড়ে।'

স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর ধানমন্ডির বাসায় সাক্ষাৎ করেন এডওয়ার্ড কেনেডি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বশান্তির দূত। বিশ্বশান্তির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু পাকিস্থানে বহু বছর ধরে সামরিক শাসন চলছে। পাকিস্তানের সামরিক শাসন এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি ক্যান্সার।তিনি আমাকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় আমি এবং আমার দল ডেমোক্রেটিক পার্টি যেন ভূমিকা রাখি। তাহলে এশিয়ায় শান্তি বজায় থাকবে। এশিয়ার দেশগুলোতে গণতন্ত্র বিকশিত হবে এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। তাঁর ধ্যান-জ্ঞান ছিল বাংলাদেশ ও বিশ্বশান্তি এবং তিনি ছিলেন যুদ্ধবিরোধী ও বর্ণবাদবিরোধী; যার সঙ্গে আমার আদর্শের মিল ছিল।'

বঙ্গবন্ধুর হত্যার খবর পাওয়ার পর পশ্চিম জার্মানি পত্রিকায় বলা হয়েছিল, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। তিনি জনগণের কাছে এত জনপ্রিয় যে, লুই এর মত তিনি এ দাবি করতে পারেন, আমিই রাষ্ট্র।'

ভারতীয় বেতার 'আকাশ বাণী' ১৯৭৫ সালের ১৬ ই আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, 'যীশু মারা গেছেন।এখন লাখ লাখ লোক ক্রস ধারণ করে তাঁকে স্মরণ করে, একদিন মুজিবই হবেন যীশুর মতো।'

জয় বাংলা

জয় বঙ্গবন্ধু ।

লেখক: পুলিশ সুপার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা