বিদেশি কোকোয়া চাষ হচ্ছে শেরপুরের বনাঞ্চলে

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৬
অ- অ+

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর বনাঞ্চলে প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে কফি ও চকোলেট তৈরির কাঁচামাল কোকোয়া ফল।

ফলের বাগান মালিক জালাল উদ্দীন জানান, এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন উপত্যকার উদ্ভিদ। কোকো বা কোকোয়া মধ্য আমেরিকার আরো কয়েকটি দেশেও চাষ হচ্ছে। এছাড়া আফ্রিকার আইভরি কোস্ট, ঘানা, নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুনেও এর আবাদ হচ্ছে।

অন্যদিকে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১০ বছর ধরে দেশেও শুরু হয়েছে কোকোয়া চাষ। এর চারা উৎপাদনে বাগান মালিককে নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে।

উপজেলার বন্দবাটপাড় এলাকার কৃষক ও কোকোয়া ফলের বাগান মালিক জালাল উদ্দীন বলেন, কোকোয়ার ফুলগুলো আকারে ছোট, হালকা গোলাপি অথবা সাদা রঙের হয়। পাকা ফলের ভেতরে পেঁপের মতো ফাঁকা আর কয়েকটি সারিতে ছোট ছোট বীজ থাকে। একটি গাছে শতাধিক ফল ধরে। প্রতিটি ফলে প্রায় ৩০টির মতো বীজ থাকে। যা খেতে মিষ্টি।

জালাল উদ্দীন জানান, তিনি দীর্ঘ ১০ বছর মালয়েশিয়ায় চাকুরি করেন। প্রবাস জীবন শেষে ১৯৯৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। আসার সময় তিনি নিয়ে আসেন কোকোয়া বীজ। সেই থেকে শুরু বাগানের, এখন দিচ্ছে ফল। একেকটি গাছে শতাধিক ফল আসে। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় হাজারখানেক চারা রয়েছে। আর মালয়েশিয়া থাকাকালীন এ বীজ দিয়ে চকলেট, কফি, কেক, বিষ্কুট, আইসক্রিম তৈরি হয়। এমন একটি কারখানায় তিনি চাকরিও করেছেন।

কোকোয়া বীজের প্রসেসিং সম্পর্কে জালাল উদ্দীন বলেন, পাকলে ফলের রঙ হয় লাল আবার কোনোটা হয় গাঢ় হলুদ। ফলের ভেতরের বীজ বের করে শুকাতে হয়। তারপর এটিকে গুঁড়া করতে হয়। এর গুঁড়া থেকেই চকোলেট তৈরি হয়। বছরে ২-৩বার ফল সংগ্রহ করতে হয়। কোকোয়া গাছ শীতল ও গরম হাওয়া কোনোটাই সহ্য করতে পারে না। তাই হালকা রোদ পড়ে এমন ছায়াযুক্ত জায়গায় ভালো হয়।

পুষ্টিবিদ খোকন আহমেদ বাদল জানান, এর বীজে আছে থিওব্রোমাইন, ক্যাফেন ও রঙিন বস্তু। সার্বিকভাবে বীজ উত্তেজক ও মূত্র রোগে বেশ উপকারী। থিওব্রোমাইন স্নায়বিক রোগের টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হৃদজনিত রোগে এনজাইমা পেক্টোরিসর ব্যথা উপশম করতে পারে চকোলেটের ক্বাথ। এছাড়াও চকোলেটের ফ্ল্যাভানল সমৃদ্ধ কোকোয়া মিল্ক ক্লান্তি দূর করতে, ইনসোমনিয়া প্রতিরোধে এমনকি শরীরের চামড়া টানটান রাখে যা বার্ধক্য দূর করতেও কাজ করে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কোকোয়া বিদেশি ফল হলেও গত এক দেড় দশক ধরে আমাদের দেশেও চাষ হচ্ছে। এটি ছায়াযুক্ত জায়গাতেও হয়। কোকোয়ার বাগানে মিশ্র ফসল হিসেবে আদা, হলুদ ভালো ফলন হয়। এ ফল চাষে ও চারা উৎপাদনে জামাল উদ্দীনকে নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/ ১১ আগস্ট/ ইএইচ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মানিকগঞ্জের সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অনিয়মের প্রমাণ পেল দুদক
কোতয়ালী এলাকায় বিশেষ অভিযান, মাদক কারবারিসহ গ্রেপ্তার ১৫
ফরিদপুরে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা