কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানার সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়টির পলেস্তার খসে পড়া ছাদের নিচে পাঠদানে দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়েই সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরাও। বিদ্যালয়ের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে ২৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছে। প্রতি বছর এই বিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাদের পলেস্তার খসে পরা ও ছাদের বিমসহ বেশ কিছু স্থানে ফাটল। বিদ্যালয়টি ২০০১ সালে পূর্ণ নির্মাণ করে দু-তলা ভবন করা হয়। গত ২-৩ বছর আগে ভবনটির ৩ কক্ষের ছাদের বিম, ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরে এবং ছাদের পলেস্তার খসে পরে। সেই থেকে ক্লাস চললেও সমাধানের ব্যবস্থা হয় নাই বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ রুমে পড়াশোনা করেছিলাম। পরে স্যারেরা এ রুম থেকে অন্য রুমে আমাদের ক্লাস নিচ্ছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান না করলে যে কোনো মুহূর্তে দুঘর্টনা ঘটতে পারে।
সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার তানজিনা মমতাজ জানান, ভবনটির ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরেছে এবং ছাদের পলেস্তার খসে পরেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। যদি এই সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের আলাদা রুমে ক্লাস নিচ্ছি। তবে লাইব্রেরি আর পাশের রুমে অবস্থা খুবই খারাপ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এন, এম, শরীফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, চলতি মাসের ২৩ তারিখে আমাদের মাসিক মিটিং আছে। সেই মিটিং এ সবার সম্মতি নিয়ে নতুন বিল্ডিং এর জন্য ঢাকায় রিপোর্ট পাঠাবো।
কুড়িগ্রাম সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেদুল হাসান বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ওই বিদ্যালয়ের তালিকা উপজেলা এলজিইডি অফিস পাঠিয়েছি। তারা যাচাই বাছাই করছেন। রিপোর্ট দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট পাঠাবো।
(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এসএ)

মন্তব্য করুন