জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত দামুড়হুদার জেবার
নিম্নবিত্ত পরিবারের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা জেবা। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় কৃতিত্বের সাক্ষর রেখে চলেছেন। চলতি বছর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। কিন্তু জেবাকে কলেজে ভর্তি করা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে পরিবার।
জানা গেছে, জেবার বাবা জুলফিকার আলী দীর্ঘ ১৫ বছর থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতি মাসে তার শরীরে রক্ত দিতে হয়। তার চিকিৎসার টাকা যোগাড় করা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। অসুস্থ বাবার উপার্জন ক্ষমতা না থাকায় মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিবারের স্বপ্ন মেয়ে সাদিয়া সুলতানা জেবা পড়াশোনা করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু এখন মেয়ের কলেজে ভর্তি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাবা জুলফিকারের। মেধাবী সাদিয়ার পরিবার এখন বিয়ে দেবার জন্য পাত্র খুজতে শুরু করেছে।
জেবার পিতা জুলফিকার আলী বলে, আমার মেয়ে ছোট থেকেই মেধাবী। সে ক্লাসওয়ান থেকে ফার্স্ট হয়ে আসছে। এসএসসিতে এ প্লাস পেয়েছে। কিন্তু মেধাবী মেয়েকে আমার পক্ষে কোনোভাবেই কলেজে পড়ানো সম্ভব না। আমার সে স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই। আমাদের পরিবারের স্বপ্ন ছিলো মেয়ে একদিন বড় ডাক্তার হবে। তাই আমার মেয়ের পড়াশোনা জন্য স্থানীয় হৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
জানতে চাইলে নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, সাদিয়ার পরিবারের আর্থিক সামর্থের কথা বিবেচনা করে তাকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয় আমাদের স্কুলে। এখন তার লেখাপড়ায় কেউ সহযোগিতা না করলে, হয়তো তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে যেতে পারে। এই মেধাবী ছাত্রীর জন্য লেখাপড়ার খরচ চালাতে সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ জানাই।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, সাদিয়ার বাবার চিকিৎসায় প্রচুর টাকা খরচ হয়। আমি সবসময় তার পরিবারের পাশে থাকব আমার বাড়ির পাশের মেয়ে। সাদিয়া খুবই মেধাবী ও ভদ্র তার লেখা পড়া অর্থের অভাবে বন্ধ হোক তা হতে দেবো না প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলবো সাদিয়ার জন্য।
(ঢাকাটাইমস/০৯ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)