উপনির্বাচন: নাটোর-৪ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার প্রার্থী

জালাল উদ্দিন, নাটোর
| আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৪৩ | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:২২

নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১১ অক্টোবর। এ উপনির্বাচনে কে পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তা নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। গত ৩০ আগস্ট সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস মারা গেলে এই আসনটি শূন্য হয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে যে সকল আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মূলত তারাই এই উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেতে দলের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ রাখছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জীবিত থাকতে তিনি নিজেই আশাবাদী ছিলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাকেই মনোনয়ন দেবেন।

কিন্তু তার মৃত্যুর পর অনুসারীরা মনে করছেন এই আসনে যোগ্য পিতার স্থানটি পাবেন একমাত্র কন্যা অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। অনুসারীরা বলছেন, মুক্তি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি পিতার নিষ্ঠাবান সহচর ছিলেন এবং মাঠের রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক সক্রিয় ছিলেন। বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলায় তার মানবিক সেবার সুনাম রয়েছে।

‘বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে মনোনয়ন চাই’ এই দাবি নিয়ে এই উপনির্বাচনসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বড়াইগ্রাম উপজেলার ৩ জন নেতা। তারা হলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক কেএম জাকির হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম রফিকউদ্দিন সরকারের পুত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান সরকার।

অপরদিকে এই আসনে গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইতে মরহুম অধ্যাপক কুদ্দুস তনয়া কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ছাড়াও প্রস্তুত রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহম্মদ আলী মোল্লা, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা।

বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী জানান, দল থেকে যাকেই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেবে, তাকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ স্বাগত জানাবে ও তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, ভোট গ্রহণ ১১ অক্টোবর। সিসি ক্যামেরাবিহীন ভোট কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :