কক্সবাজারে ক্যাবল কার স্থাপনের চিন্তা কউকের

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০৮
অ- অ+

কক্সবাজার থেকে মহেশখালী এবং কক্সবাজার থেকে টেকনাফে ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার।

বৃহস্পতিবার কউক ভবনের মাল্টিপারপাস হলে ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্সের ফেলোদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি তথ্য জানান। এতে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বিনোদনে যুক্ত হবে ভিন্ন মাত্রা।

চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে জেলায় অভাবনীয় উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। চলমান উন্নয়ন ছাড়াও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারকে সর্বোচ্চ আকর্ষণীয় এবং ট্যুরিজম জোন হিসেবে গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাসটার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌফলদন্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজম করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই উন্নয়নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের সবচেয়ে বড় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কউক কর্তৃক যে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েছে তা একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে এবং মেগা প্রকল্পসহ অনেক কাজ চলমান রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করলে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেয়া সম্ভব হবে।

নুরুল আবছার আরো বলেন, কক্সবাজারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফিট প্রশস্থকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বিদেশি পর্যটকরা যেনো কক্সবাজারে এসে মুদ্রা বিনিময় করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

এরআগে কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেলোদের সামনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি প্রমোশন ট্যুরিজম, ব্লু ইকোনমির সম্পদ ব্যবহার করা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজন ওপর ফোকাস, বঙ্গোপসাগরে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে কাজে লাগানো, রোহিঙ্গা সংকট এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের দিকে নজর রাখার বিষয়ও উল্লেখ করেন।

সভায় কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনা ও চলমান কর্মকান্ড উপস্থাপন করেন কউক চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং কক্সবাজারকে একটি নিরাপদ, আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরীতে রূপ দিতে কউক ইতিমধ্যেই কক্সবাজারের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তার পাশাপাশি পর্যটন উন্নয়ন, আবাসন ও যোগাযোগের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজেও হাত দিচ্ছে। শীঘ্রই কক্সবাজার থেকে টেকনাফ এবং কক্সবাজার থেকে মহেশখালী পর্যন্ত ক্যাবল কার চালুর লক্ষ্যে সমীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। বাস্তবায়িত হলে এটি হবে কক্সবাজারের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। পরিকল্পনাধীন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে আগামী এক দশকের মধ্যে কক্সবাজার একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরীতে রূপান্তরিত হবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য কক্সবাজারকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন কউক তার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৩/২ এ ফেলোদের মধ্যে ৮ জন সংসদ সদস্য, বিচারক, অতিরিক্ত সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিমানবাহিনীর ৩৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মানিকগঞ্জের সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অনিয়মের প্রমাণ পেল দুদক
কোতয়ালী এলাকায় বিশেষ অভিযান, মাদক কারবারিসহ গ্রেপ্তার ১৫
ফরিদপুরে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা