ফেনীতে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং: এক বছরে নিহত ৪, আহত শতাধিক

এম শরীফ ভূঞা, ফেনী
 | প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩০

ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ প্রবণতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত এক বছরে জেলায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ হারিয়েছে চারজন। আহত হয়েছেন শতাধিক। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও পাড়ার রাস্তা থেকে শুরু করে অলিগলিতে বসে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের কিশোর-তরুণদের আড্ডা। দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য।

কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে, কিশোরদের সচেতন করার পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।

জানা গেছে, কিশোর গ্যাং গ্রুপের সংক্ষিপ্ত নাম রয়েছে। এগুলো হলো এসকেবি, এলএসকেবি, ৭-স্টার, এমডিবি-৩৬০। ফেনী শহর ও আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, প্রেম সংক্রান্ত বিরোধ, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, চুরি-ছিনতাই, ইভটিজিং ও চাঁদাবাজিসহ হত্যার মতো ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িত এসব গ্যাং। গ্যাং প্রতিরোধে বিভিন্ন সময় শহরে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছেন শহরবাসী।

সচেতন মহল বলছে, পারিবারিক ও সামাজিক অসচেতনতার কারণে কিশোর তরুণরা ভয়ঙ্কর সব অপরাধে জড়িয়ে জীবন বিপন্ন করছে। স্থানীয়রা বলছেন, মানুষের ওপর নির্যাতন, মানুষের মালামালের ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে এসব কিশোর গ্যাং।

সানরাইজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, একটা ছেলে বা কোনো পরিবারের একজন সদস্য যদি বিপথগামী হয়ে যায়, তাহলে শুধু সেই পরিবারটিই নয়, পুরো সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়।

সামাজিক সংগঠন বিজয়পুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান একরামুল হক জানান, আমাদের পারিবারিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা এবং সামাজিক অনুশাসনগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণেই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে।

ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, কিশোর গ্যাং বন্ধ করার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করবো আপনার সন্তানের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কাদের সাথে মিশছে।

ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যাটা কমিয়ে আনতে আমাদের একইসঙ্গে কাউন্সিলিং, মোটিভেশন এবং আইনপ্রয়োগ-সমানভাবে চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :