বগুড়ায় শ্রমিক হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় আল আমিন (১৭) নামে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ডসহ আরো ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকালে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাছিমুল করিম হলি।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফরিদ শেখ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একই এলাকার ইয়াকুব আলী শেখ, মঞ্জু শেখ, নয়ন শেখ, সোহাগ শেখ, মাছুম শেখ, আব্দুর রাজ্জাক শেখ, খোরশেদ শেখ।

২০১৯ সালের ৬ জুন কুটুরবাড়ি এলাকার বাদশা শেখের ছেলে ঢালাই শ্রমিক (কড়াইয়ের কারখানায় কাজ করতো) আল আমিনকে প্রতিবেশীরা পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার দুই দিন পর ৮ জুন সদর থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন আল আমিনের বাবা বাদশা শেখ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাছিমুল করিম হলি বলেন, নিহত আল আমিনের বড় চাচার সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল আসামিদের। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৬ জুন সকালে বাড়ির উঠানে চাচাকে মারধর করে আসামিরা। এটা দেখে আল আমিন বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর শুরু করে আসামিরা। ওই সময় আল আমিনের পেটে ধারালো অস্ত্র সুড়কি দিয়ে আঘাত করে। আঘাতের কারণে আল আমিন মাটিতে পড়ে গেলে তাকে আরও লোহার রড, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যায় আল আমিন।

এপিপি নাছিমুল করিম হলি আরো বলেন, মামলার শুনানিতে অভিযোগের বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়। এজন্য বিচারক ফরিদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি সাতজনের যাবজ্জীবন সাজা দেন। এ ছাড়া মামলার এজাহারের আরও তিন নারী আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না থাকায় খালাস দেওয়া হয়। রায়ের পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকা টাইমস/০৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)