শীতের দিনে ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে যা করণীয়

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩২

ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। কাজেই শারীরিক সুস্থতার জন্য সুস্থ ও সুন্দর ত্বক যে অপরিহার্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অল্প সময়ের এই শীতে শুষ্ক বাতাসের তীব্রতা বাড়ে। হিমেল এ বাতাস মানুষের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে ত্বকে। খসখসে হয়ে ওঠে ত্বক। ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালিও ফেটে যায় অনেকের। তাই এ সময় ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। তবে এ যত্ন যদি প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা নানা উপকরণ দিয়ে করা যায়, তাহলে তো আর কোনো কথাই থাকে না।

শীতের দিনে ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে যা করণীয়-

ক্লিনজার

শীতের সময়, ফোম-ভিত্তিক অর্থাত ফেনা-যুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তার পরিবর্তে স্টেরাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে সিটাইল সমৃদ্ধ একটি ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এগুলি ত্বক যেমন পরিষ্কার করে, তেমনি ত্বককে হাইড্রেটেডও করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে কখনও মুছে দেয় না। মৃদু, ময়েশ্চারাইজিং লেখা ক্লিনজারগুলি এই সময় ব্যবহার করুন।

গোসল

অনেকে শীতে গরম পানিতে গোসল করেন। এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে থাকে। কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন। গোসলে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষারীয় সাবান ব্যাবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অটামিল বা সি সল্ট বাথ নিতে পারেন।

ময়েশ্চারাইজার

কোনো রোগ না থাকলেও শীতে ত্বক স্বাভাবিক রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নিঃসৃত তেল সংরক্ষণে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। গোসলের পর পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। ক্রিম, লোশন, জেল এমনকি সাবান হিসেবে ময়েশ্চারাইজার বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

পোশাক

টাইট ফিট এবং সিনথেটিক পোশাক ত্বককে আরও শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করুন। পলিয়েস্টার, লিলেন, নাইলন ইত্যাদি পরিহার করুন।

হিউমিডিফায়ার

ঘরে জলীয় বাষ্পের অনুপাত ঠিক রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে রুমের জলীয় বাষ্প ৪০ থেকে ৬০ শতাংশে রাখুন। বিশেষ করে একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন তাদের জন্য হিউমিডিফায়ার বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

মনে রাখবেন, একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগছেন শীতে তাদের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, ভাইরাস ও পরজীবী জনিত ত্বকের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এসব নিয়ম মেনে চললে দেখবেন এই শীতের সময়টা আপনার জন্য অনেক উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।

(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/এ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :