চট্টগ্রামে টানেলের পর আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২০

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পর এবার বন্দরনগরী মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্দরনগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন।

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। মূল সড়কের অবশিষ্ট অংশ নগরের টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত (এক কিলোমিটারের একটু বেশি) নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে মূল এক্সপ্রেসওয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এই এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ হয়েছে।

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের ১৭ দিন পর আজ মঙ্গলবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হচ্ছে। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে নগরীর টাইগারপাস পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এই প্রকল্পটি পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়েছে। কোনো বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়নি।

উদ্বোধনএক্সপ্রেসওয়ের নকশা তৈরি ও নির্মাণ থেকে শুরু করে সব কিছু দেশীয় জনবল ও সম্পদ ব্যবহার করে করা হয়েছে। দেশের সাম্প্রতিক বড় নির্মাণ কাঠামোগুলোর মধ্যে একে এক কথায় একটি স্বদেশি অবকাঠামো বলা যায়। মাত্র চার বছর ৯ মাসে এই এক্সপ্রেসওয়ের মূল উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এত কম সময়ে কাজ শেষ করার বিষয়টিও নজির হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সড়কে তিনটিসহ মোট চারটি উড়াল সেতু-ওভারপাস চালুর পর এবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হতে যাচ্ছে। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ উড়ালপথ। মূল এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৫.১১ কিলোমিটার।

এটি সাড়ে ১৬ মিটার প্রস্থের চার লেনের সড়ক। উদ্বোধনের পর এক্সপ্রেসওয়েতে দু-তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। পুরোপুরি যান চলাচল শুরু হতে আরো দুই মাসের মতো অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

মূল সড়কের অবশিষ্ট অংশ নগরের টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত (এক কিলোমিটারের একটু বেশি) নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে মূল এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সিডিএর এক্সপ্রেসওয়ে ও দুটি সড়ক ছাড়াও আজ আরও আটটি প্রতিষ্ঠানের ১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও একটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :