সর্দি-কাশির মহৌষধ মধু! রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ওস্তাদ

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৩৯

খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার মধু। এতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও মধুর গুণাগুণ কখনো নষ্ট হয় না। নানা জটিল রোগের সমাধান এটি। বিশেষ করে সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় অতি পরিচিত এই মধু কিন্তু মহৌষধের সমান। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ওস্তাদ। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

মধুতে এমন কিছু উপকারী কিছু উপাদান রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের খেল খতম করার কাজে সিদ্ধহস্ত। সে কারণে যুগের পর যুগ ধরে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি আজও এই ভেষজ উপাদানের গুণেই একাধিক মানুষ অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য ছাড়াই যেকোনো সমস্যার ফাঁদ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

কিন্তু মুশকিল হলো, সঠিক উপায়ে এই ভেষজ সেবন না করলে উপকার মিলবে না। এমনকি সারবে না সর্দি-কাশি। তাই আর দেরি না করে চটজলদি মধু সেবন করার সঠিক উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আশা করছি, বিপদের সময়ে এই উপায় মেনেই আপনি সর্দি-কাশির খেলা শেষ করে দিতে পারবেন। সঙ্গে বাড়বে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও।

গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খান​

ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছা থাকলে এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর পানি ঠান্ডা হয়ে এলে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে চট করে খেয়ে নিতে হবে। ব্যস, তাহলেই উপকার মিলবে। কমবে সর্দি, কাশির প্রকোপ। বুকে জমে থাকা কফ বেরিয়ে যেতেও সময় লাগবে না। তাই সর্দি-কাশির সমস্যায় পড়লে এই কৌশলে মধু খেতে দেরি করবেন না!

চায়ে মধু ও লেবু মেশালেই মিলবে উপকার​

এক কাপ চায়ে এক চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। তাহলেই সর্দি, কাশি নিপাত যাবে। কারণ মধুর পাশাপাশি এই পানীয়ে মজুত থাকা চা এবং লেবুরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এফেক্ট রয়েছে, যা সর্দি-কাশি কমানোর কাজে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছো থাকলে এই পানীয়ের কাপে চুমুক দিতে ভুলবেন না।

মধু আর তুলসীর জবাব নেই​

সকালবেলা কয়েকটি টাটকা তুলসী পাতা এক চামচ মধুতে মিশিয়ে টুক করে গিলে নিতে পারেন। কিংবা তুলসী পাতার রস করে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে গলায় ঢালুন। তাতেই কিন্তু খেলা ঘুরে যাবে। সর্দি, কাশির মতো সমস্যা আর পিছু নিতে পারবে না। এমনকি বাড়বে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই বিপদে পড়লে এই টোটকার কথা ভুলবেন না!

মধু, আদা মিশিয়ে খেলেও খেলা ঘুরে যাবে

একটা ছোট আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। তারপর সেই টুকরোগুলো এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চুষে চুষে খান। কিংবা এই মিশ্রণ পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। তাতেই কমবে কাশির প্রকোপ। উঠে আসবে বুকে জমে থাকা কফ। তাই এবার থেকে কাশির খপ্পরে পড়লে কাফ সিরাপ না খেয়ে এই টোটকার শরণাপন্ন হন। তাহলেই আপনার সুস্থ থাকার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না।

প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খান​

হাতের কাছে অন্য কোনো ভেষজ না থাকলে শুধু মধুই খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে উঠে এক চামচ মধু চট করে খেয়ে নিন। ব্যস, তাতেই কমবে সর্দি-কাশির প্রকোপ। এমনকি আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও থাকবে চাঙ্গা। ফলে অদূর ভবিষ্যতে আর একাধিক সংক্রামক রোগব্যাধির ফাঁদে পড়তে হবে না।

(ঢাকা টাইমস/১৫নভেম্বর/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :