নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবা-ছেলেসহ ১৬ জন

ইমরান হোসেন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:২৭

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাবা-ছেলে ও দুই ভাইসহ ১৬ জন। এদের মধ্যে সবাই মনোনয়নপত্র পূরণ প্রক্রিয়া শেষ করেছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এত বেশি সংখ্যক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় দলীয় কোন্দল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এতে আসনটি নৌকার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির কাছে নৌকার প্রার্থী চান স্থানীয় নেতারা। জবাবে মির্জা আজম বলেছেন, দলীয় প্রার্থী চান আবার কোন্দল করে নৌকা ডুবাবেন- তা হবে না। তার চেয়ে লাঙ্গলই ভালো।

এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, তাঁর ছেলে নগদের নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বীরু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, সোনারগাঁ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ও তাঁর বড় ভাই কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা দীপক কুমার বণিক, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল, এরফান হোসেন দীপ তাঁর চাচা মনির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা লিপি পেপার মিলের মালিক শিল্পপতি মতিন খান, শ্রমিক লীগ নেতা জসিম উদ্দিন ,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তারেক জাহাঙ্গীর আইয়ুব খাঁন ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর দাবি, নির্বাচন এলেই আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়ে। অথচ সারাবছর তারা জনগণের খোঁজখবর নেন না অনেককে দলীয় কর্মসূচিতেও দেখা যায় না।

স্থানীয় জৈষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জানান, এখনো সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী শক্তি তৈরি করতে পারিনি। এজন্যই তাদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই আছে। ফলস্বরূপ সোনারগাঁ থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে ইতিবাচক দিক থেকে নেতিবাচক দিকটিই বেশি প্রভাব ফেলবে। এই সুযোগটি হয়তোবা জাতীয় পার্টি কিংবা মহাজোটের অন্য কোনো শরীক দল নিতে পারে।

সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর আওয়ামী লীগ থেকে এ আসনে কেউ প্রতিনিধিত্ব না করায় স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ অসহায়ত্ব নিয়ে বসবাস করছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবার এ আসনে নৌকা চাই। আশা করি নেত্রী এবার এ আসনে নৌকা মাঝি হিসেবে আমাকে মনোনীত করবেন।

(ঢাকা টাইমস/২২নভেম্বর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :