বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের থেকে এক লাখ কোটি রুপির বিনিয়োগ প্রস্তাব পেল ভারত

বাণিজ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৫৪| আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:০১
অ- অ+

বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এক লাখ কোটি রুপি বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে ভারত। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আছে, এমন প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দেশটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের সর্বশেষ পাওয়া প্রস্তাবকালীন সময় পর্যন্ত এই বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে দেশটি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৬ রুপি বিনিয়োগ প্রস্তাব গেছে ভারতে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত থাকা চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান থেকে মোট এক লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগের (প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ-এফডিআই) প্রস্তাব পেয়েছে।

এর মধ্যে অর্ধেক প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বাকি প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কিছু প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে, কিছু প্রস্তাব ঝুলে আছে আর কিছু প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

যেসব খাতে বেশির ভাগ প্রস্তাব এসেছে, সেগুলো হলো—ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদন, অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, বাণিজ্য, ই-কমার্স, হালকা প্রকৌশল ও বৈদ্যুতিক খাত। এসব প্রস্তাবের সিংহভাগই এসেছে চীন থেকে। এ ছাড়া নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও সীমান্ত সংলগ্ন অন্যান্য দেশ থেকেও কিছু প্রস্তাব গেছে।

২০২০ সালের এপ্রিলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, দেশটির সঙ্গে স্থল সীমান্ত আছে, এমন কোনো দেশ থেকে বিনিয়োগের প্রস্তাব এলে তার জন্য অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কোভিড-১৯-এর সময় বিপদগ্রস্ত দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বিদেশিদের হাতে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই নির্দেশনার আলোকেই কিছু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী এ গণমাধ্যম।

খবরে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ থেকে ভারত বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে, সেসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৮০ হাজার ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে’।

ভারতের সঙ্গে যেসব দেশের স্থল সীমান্ত আছে, সেগুলো হলো—চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ভারতের যেকোনো খাতে এসব দেশের বিনিয়োগ প্রস্তাব এলে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।

সরকারি তরফে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে সেই ঘোষণার পর এক লাখ কোটি রুপির প্রস্তাব এসেছে, এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক ছাড় করা হয়েছে এবং বাকিগুলো হয় বাতিল করা হয়েছে, না হয় ঝুলে আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, এসব আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রস্তাবগুলো ভারতের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা এসব প্রস্তাব বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে।

তবে সেই সরকারি কর্মকর্তা এও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ভারত চীনের এফডিআই পেয়েছে ২৫০ কোটি ডলারের, যা এসেছে মূলত ইক্যুইটি বিনিয়োগ হিসেবে। একই সময়ে ভারতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেছে ৮০ হাজার ডলার; নেপাল করেছে ৪৫ লাখ ১০ হাজার ডলার; মিয়ানমার করেছে ৯০ লাখ ডলার এবং আফগানিস্তান করেছে ২৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

(ঢাকা টাইমস/০৪ডিসেম্বর/এসআইএস/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এলাকাবাসীর বিক্ষোভ-অবস্থানের মধ্যে অভিযানের সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র আইভী
মানবিক করিডরের নামে কোনো কিছু জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না, মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি 
জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ভারতীয় প্রতিবেদন ‘ভুয়া এবং মিথ্যা’: পাকিস্তান
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা