নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চসিক মেয়রকে তলব

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ৩য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বেগম আঞ্জুমান গত রবিবার (৩ ডিসেম্বর) চসিক মেয়রকে তলব করে চিঠি পাঠিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম ১১ সংসদীয় এলাকার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচনি প্রচারের জন্য যান। নির্ধারিত সময়ের আগে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ লতিফকে সঙ্গে নিয়ে তার জন্য তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চান ও উপস্থিত ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনি প্রচারকাজে যুক্ত হন।’ ‘যা শনিবার (২ ডিসেম্বর) দৈনিক আজাদী,পূর্বকোণ, পূর্বদেশ ও চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকায় ‘এম এ লতিফের পক্ষে মতবিনিময় সভায় মেয়র’ শিরোনামে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে একটি লাভজনক পদে থেকে পুলিশ প্রটোকলসহ সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও প্রার্থী এম এ লতিফ সুস্পষ্টভাবে উভয়ে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনি প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফারুক বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে একটি লিখিত পত্র দেওয়া হয়েছে। আদালত সেটি দেখেছেন। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এআর)

মন্তব্য করুন