হাথুরুসিংহে যদি এমন করে থাকেন, তাহলে বড় অন্যায় করেছেন: পাইলট
সদ্য সমাপ্ত ভারত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু টানা হারে ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশ সবার আগেই বিদায় নেয় বিশ্বকাপ থেকে। হারের বৃত্তে বন্দী বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের কাছেও হেরে বসে। এতে বেশ সমালোচনা হয়েছে দল নিয়ে। সবমিলিয়ে ৯ ম্যাচে ২ জয়ের বিপরীতে ৭ হারে আটে থেকে আসর শেষ করে বাংলাদেশ।বড় মঞ্চে সাকিবদের এমন পারফরম্যান্স হতাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি)। তাই আসর শেষে ব্যর্থতার কারণ খোঁজতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বোর্ড।
ব্যর্থতায় ভরা বিশ্বকাপের পর আলোচনায় আরেকটি ইস্যু।টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে ‘শারিরীক হেনস্থার’অভিযোগ উঠেছে খোদ হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। গতকাল নাসুমকে ডেকেছিল তদন্ত কমিটি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করে আবারও বিসিএল খেলতে সেখানে ছুটে গেছেন।
টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে ‘শারিরীক হেনস্থার’অভিযোগ উঠেছে খোদ হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। গতকাল নাসুমকে ডেকেছিল তদন্ত কমিটি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করে আবারও বিসিএল খেলতে সেখানে ছুটে গেছেন।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর)ফেসবুক লাইভে পাইলট বলেন, 'আমি শুনেছি, বিশ্বকাপের সময় নাকি নাসুমের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। যদি কোচ নাসুমের গায়ে হাত দিয়েই থাকেন, তাহলে এটা অনেক বড় অন্যায়ের কাজ করেছেন হাথুরুসিংহে। কারণ কারো গায়ে কেউ হাত দেয়ার অধিকার রাখে না, সেটা যে-ই হোক না কেন। আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনো দেখিনি, কখনো শুনিও নেই এমন ঘটনার কথা। যদি তিনি (হাথুরুসিংহে) এমনটা করে থাকেন, তাহলে এটা জাতীয় দলের ওপর বড় একটা প্রভাব পরবে।'
এদিকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিসিবি। তবে নিজেদের মানুষ দিয়েই এই কমিটি গঠন করায় খেলোয়াড়রা মন খুলে সবকিছু বলতে পারবেন না বলেও মনে করেন খালেদ মাসুদ। তিনি বলেন, 'যখন নিজেদের মানুষদের মধ্যেই আপনি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন, তখন কেউই কিন্তু মন খুলে কথা বলবে না। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার আসল রূপটা বের হয়ে আসবে না। কারণ সবাই আসল ঘটনাটা বলতে কিছুটা দ্বিধায় পরবে। ফলে কি আমাদের আসল সমস্যার সমাধান হবে? তাই আমি মনে করি, দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য নিরপেক্ষ কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত ছিল।'
৩ ডিসেম্বর থেকেই এই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। প্রথম দিন আসেন নির্বাচক প্যানেলের প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এরপর হাবিবুল বাশার সুমনকেও দেখা যায়। এই দুই নির্বাচকের পর সেখানে একে একে হাজির হতে থাকেন ক্রিকেটাররাও।
তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজ চলার কারণে নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিমদের ডাকেনি তদন্ত কমিটি। সাকিব আল হাসানও আছেন নির্বাচনী ব্যস্ততায়। এখনো ডাকা হয়নি হাথুরুসিংহেকে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষেই দল আবার উড়াল দেবে নিউজিল্যান্ডে। এর মাঝে বাকি থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কমিটি দেখা করতে পারে কি-না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)