সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রুবেলের বাড়িতে শোকের মাতম
ঢাকার ধামরাই বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বন্দ্যেকাউলজানী গ্রামে রুবেল পারভেজের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। শত শত মানুষ তার মরদেহ দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমায়।
নিহত রুবেল পারভেজ মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের বন্দ্যেকাউলজানী গ্রামের মৃত মোকাদ্দছ আলীর ছেলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ৪১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রুবেল পারভেজ মার্কেন্টাইল ব্যাংকে মানিকগঞ্জের ঝিটকা শাখায় কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাসের জন্য ধামরাইয় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সেলফি পরিবহনের একটি বাস অপর একটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়ে় থাকা রুবেল পারভেজসহ অপর এক পথচারীর ওপর তুলে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রুবেল পারভেজ ও হাসপাতালে অপর ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
রুবেলের চাচা লাল চাঁন জানান, ২০ বছর আগে তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে রুবেলের বাবা মোকাদ্দছ আলী মারা যান। অভাব অনটনের সংসারে খেয়ে না খেয়ে তার মা সন্তানদের লেখাপড়া করান। বিভিন্ন জনের সাহায্য সহযোগিতার ও টিউশনি করে রুবেল নিজে লেখাপড়া করার পাশাপাশি ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়া করান।
উয়ার্শী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দ্যেকাউলজানী গ্রামের বাসিন্দা মো. আওলাদ হোসেন বলেন, বাস চালকের অবহেলায় এভাবে একটি সম্ভাবনাময় জীবনে ঝড়ে গেলে। তিনি চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মির্জা শামীমা আক্তার শিফা বলেন, সে আমার আত্মীয়। খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে স্টাগল করে মেধাবী রুবেল বিসিএস ৪১তম শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। গত মঙ্গলবার সে আমার অফিসে আসলে তাকে আমি মিষ্টিমুখ করাই। আজকে সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু সংবাদ শুনে আমি হতভাগ হয়ে পড়েছি। তার মৃত্যুতে শুধু তার পরিবার নয়, আমাদের গ্রাম ও দেশের অনেক ক্ষতি হল।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর বন্দ্যেকাউলজানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজের জানাজা শেষে সামাজিক কবস্থানে দাফন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/ইএইচ)