লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিকদের ‘মুক্তির যাত্রা’
খাঁচায় বন্দি ব্যালট বাক্স, কণ্ঠে মুক্তির গান
![](/assets/news_photos/2023/12/08/image-334524.jpg)
বাকস্বাধীনতা রক্ষা ও ভোট দেওয়ার অধিকার রক্ষার দাবিতে খাঁচায় বন্দি ব্যালট বাক্স নিয়ে রাজধানীতে ‘মুক্তির যাত্রা’ করেছেন লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিকরা। ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ ও ‘এই শিকল পরা ছল’সহ মুক্তির গানে গানে এই মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে হেঁটে এসেছে শাহবাগ পর্যন্ত।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই মিছিলে ‘ভোটাধিকার আমার মত প্রকাশেরই অধিকার’ এবং ‘আমার কলম, আমার কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে না’ এই দুটি বার্তা দেওয়া হয়। পুরো যাত্রাপথে মিছিলটি ঘিরে রেখেছিলো পুলিশ।
এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে এই আয়োজনে যোগ দিয়ে লেখক, শিল্পী, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা বলেন, বাংলাদেশ যে দীর্ঘমেয়াদি সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই আয়োজন।
শিল্পী ও চিন্তক অরুপ রাহী বলেন, ‘দেশে জুলুমশাহী কায়েম করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মানুষের স্বাধীনতা লুট করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করা হচ্ছে। দুঃখজনক যে এসবই হচ্ছে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নামে।’
লেখক রাখাল রাহা ইতিহাস তুলে ধরে জানান, এদেশেই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন হয়েছে। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে দেশের স্বর্বস্তরের মানুষ। জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা, মুক্তচিন্তার লেখক ও শিল্পীরা। অথচ দেশের বর্তমান শিক্ষক, লেখক ও শিল্পীদের একটা বড় অংশই ক্ষমতার পক্ষে দাঁড়িয়ে দেশকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকে দায় মুক্তির লক্ষ্যে সংখায় সীমিত হলেও মুক্তচিন্তা ও সচেতন সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাখাল রাহা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে পুলিশ, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন, আদালতসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এভাবে আরও চলতে থাকলে সংবিধানকে রক্ষা করা যাবে না। মুক্তির আর কোনো পথ খুঁজে পাবে না এই সংবিধান ও রাষ্ট্রের মালিক দেশের মানুষ।’
প্রতিহিংসার রাজনীতির মধ্য দিয়েই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বৈরতন্ত্রের উত্থান হয়েছে বলেও মত দিয়েছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
এই ‘মুক্তির যাত্রা’য় আরও ছিলেন শিল্পী অমল আকাশ, সংগীত শিল্পী বিথী ঘোষ এবং ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ আরও অনেকে।
(ঢাকাটাইমস/৮নভেম্বর/এসআরপি/ইএস)
![google news](https://www.dhakatimes24.com/templates/web-v3/images/google-news.png)
মন্তব্য করুন