বাংলাদেশের নির্বাচনে ‘এআই ব্যবহার’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নজর রয়েছে: ম্যাথিউ মিলার
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, ‘আজ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে আসিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে তা নিয়ে আগেভাগে কোনো আলোচনা করে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’ এটা তাদের দীর্ঘদিনের চর্চা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনি প্রচারণা ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
প্রবাসী সাংবাদিকরা এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরলে এর প্রতিক্রিয়ায় গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘নির্বাচন হতে হবে সব দলের অংশগ্রহণে। আমরা সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও সহিংসতা এড়ানোর কথা বলেছি। বাংলাদেশ সরকারকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যাতে সব দলের অংশীদারত্ব থাকে এবং যাতে সবাই সহিংসতা বা প্রতিশোধ এবং ভয় ছাড়াই নির্বাচনে অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারে।’
একইসঙ্গে ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে গণহারে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকে গ্রেপ্তার এবং কারা নির্যাতনের অভিযোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, যখন বিভিন্ন জন সব ইস্যুতে অবাধে কথা বলতে পারবেন, সংলাপে যুক্ত থাকেন এবং আলোচনা করেন তখনই একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।’
এই ব্রিফিংয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক অনুসন্ধানী রিপোর্টের উল্লেখ করে প্রবাসী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আসন্ন ‘ডামি ইলেকশনের’ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ও প্রোপাগান্ডামূলক প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চেয়েছেন তিনি।
এর জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত ভুয়া তথ্যসমৃদ্ধ উদ্বেগজনক ‘ডিপ ফেক’ খবর দেখেছি। এটা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কৌশলে বশে আনা এবং প্রভাবিত করার অংশ। কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রোপাগান্ডামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের নজর রয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/এসআরপি)