সৌম্যের সেঞ্চুরিতে ভর করে কিউইদের ২৯২ রানের লক্ষ্য দিলো টাইগাররা
পারফরম্যান্স না করেও নিউজিল্যান্ড সফরে স্কোয়োডে রাখায় সৌম্য সরকারকে নিয়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়। অবশেষে কিউইদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে মাঠেই সব সমালোচনার জবাব দিয়ে দিলেন তিনি। কিউইদের বিপক্ষে খেললেন ১৬৯ রানের এক ইনিংস। তার ১৬৯ রান ও মুশফিকের ৪৫ রানে ভর করে ৪৯ ওভার ৫ বলে ২৯১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য কিউইদের করতে হবে ২৯২ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্যাক্সটন ওভালে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ১১ রানে সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচে ৪৩ রান করা বিজয়।
১২ বলে মাত্র ২ রান করা বিজয় অ্যাডাম মিলনের বলে সেকেন্ড স্লিপে টম লাথামের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। তার বিদায়ে ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা।
বিজয়ের পর সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। জ্যাকব ডুফির বলে ফ্লিক করতে গিয়ে কাভারে হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। আউট হওয়ার আগে করেন ৯ বলে ৬ রান।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাসও। ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে জ্যাকব ডুফির বলে কাভার পয়েন্টে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে পথ ধরেন প্যাভিলিয়নের। তার বিদায়ে ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়েন সৌম্য। কিন্তু দলীয় ৮০ রানে হৃদয় রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিযনের পথ ধরলে ভেঙে যায় ৩৬ রানের জুটি।
৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাশে। এর পরেই দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহীম। এই জুটিকে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ।
এর মাঝেই ক্যারিয়ারের ১২ত অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য সরকার। কিউইদের বিপক্ষে আজ তিনি ৫৮ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১২তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য। প্রায় সাড়ে চার বছর পর অবশেষে আরেকটি ফিফটি বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনারের।
সৌমের পর ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন মুশফিকও। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে জ্যাকব ডুফির বলে উইকেটরক্ষক টম বাউন্ডেলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। যার ফলে মাত্র ৫ রানের জন্য অর্ধশতক মিস করেন তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। এর পরেই তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। কিউইদের বিপক্ষে অন্য ব্যাটাররা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যান্ত তখন স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সৌম্য। ৫৮ বলে ৫০ রান করার পর ১১৬ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। যার মধ্যে রযেছে ১৩ টি চারের মার। জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় পাঁচ বছর পর সৌম্যর এটা প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে সবশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন অংকের ঘর ছুয়েছিলেন তিনি।
তবে মুশফিকের পর মিরাজও বেশি সময় থাকতে পারেননি ক্রিজে। দলীয় ২৩২ রানে আদিত্য অশোকের বলে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ২৩২ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শেষদিকে তানজিম হাসান সাকিব (১১ বলে ১৩ রান) ও রিশাদ হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়েন সৌম্য। তবে ইনিংস শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ১৬৯ রান করে আউট হন।
শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভার ৫ বলে সব উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। কিউইদের হয়ে জ্যাকব ডুফি ও উইলিয়াম ও’রোর্ক ৩ টি করে, অ্যাডাম মিলনে, জস ক্লার্কসন ও আদিত্য অশোক একটি করে উইকেট নেন।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)